সাক্ষরতার বিস্তারে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

ক.বি.ডেস্ক: শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ফোকাস হতে হবে সাক্ষরতা ও প্রাথমিক স্তরে শিশুদের ভিত্তিমূলক শিক্ষা। সাক্ষরতার বিস্তারে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল সাক্ষরতাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। জাতির অগ্রগতির জন্য কর্মমুখী শিক্ষা এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা অপরিহার্য। শুধু শিক্ষা নয়, শিল্প ও ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই জাতির উন্নতি সম্ভব।
আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্মাননা প্রদান এবং তারুণ্যের উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী।
অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। একজন শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে যেন মাতৃভাষায় সাবলীলভাবে পড়তে, বুঝতে ও সহজভাবে লিখতে পারে এবং প্রাথমিক গাণিতিক নিয়ম আয়ত্ত করতে পারে এটিই এখন প্রধান লক্ষ্য। ফাউন্ডেশনাল লার্নিং ছাড়া সমগ্র শিক্ষা ব্যর্থ হয়ে যায়। স্কিল ফর প্রজেক্ট কর্মসূচির মাধ্যমে ঝরে পড়া শিশুদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে যুক্ত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল মিলেছে। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যেও দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। শিক্ষা এখনও শ্রমবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।“
অনুষ্ঠানে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান এই দুই ক্যাটাগরিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্মাননা ২০২৫ প্রদান করা হয়েছে। ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার প্রদীপ বিশ্বাস এ সম্মাননা পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্মাননা পেয়েছে আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেন’স এডুকেশনাল প্রোগ্রামস (ইউসেফ) বাংলাদেশ।