সাম্প্রতিক সংবাদ

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির আগে অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনার সুপারিশ টিআইবি’র

ক.বি.ডেস্ক: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’ খসড়া জারি করার আগে ব্যাপক পর্যালোচনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য কমপক্ষে এক মাস সময় দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) টিআইবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অধ্যাদেশ সংশ্লিষ্ট অংশীজন কর্তৃক পর্যাপ্ত বিশ্লেষণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনা ব্যতিরেকে জারি করা হলে এর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করার ঝুঁকি থাকবে।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাক্ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এমন আইন বাতিল করে আইসিটি বিভাগের আইন ও বিধি শাখা থেকে “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪”-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অধ্যাদেশ সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ও দমন এবং সাইবার অপরাধ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত হবে বলে টিআইবি আশা করে।”

তিনি আরও বলেন, “পূর্ববর্তী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো নাগরিকের বাক্ ও মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করার আশঙ্কা এ অধ্যাদেশে থেকে যাওয়ার সুযোগ আছে কি-না, তা যথাযথ পর্যালোচনার দাবি রাখে। এই খসড়া পর্যালোচনার জন্য মাত্র তিন কর্মদিবসের জন্য ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছিলো, যা শেষ হয়েছে এবং তা ইতোমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।”

গণমাধ্যম সূত্র মতে, গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ উপদেষ্টা পরিষদ খসড়ার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’র মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ এই অধ্যাদেশ সংশ্লিষ্ট অংশীজন কর্তৃক পর্যাপ্ত বিশ্লেষণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনা ব্যতিরেকে জারি করা হলে এর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করার ঝুঁকি থাকবে।

এমতাবস্থায়, টিআইবি সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার সময় কমপক্ষে এক মাস বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানাচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করবে যে, সতর্কতামূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্লেষণের পরই অধ্যাদেশ জারি হয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *