‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত
ক.বি.ডেস্ক: বিতর্কিত এবং কালাকানুন হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পুনরায় উপস্থাপন করবে।
সাইবারস্পেসে সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করার বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাচিবিক ও কারিগরি সহায়তায় একটি পৃথক আইনি কাঠামো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ পাস হয়। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ করে সরকার। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তা সংসদে পাস হয়। ওই আইনের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয় পুলিশকে।
গত অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবির মধ্যে সব কালাকানুন বাতিল বা সংস্কারের দাবিও সামনে আসে।
গত ৩ অক্টোবর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, “অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। সেদিকেই যাব। আল্টিমেট এটা বাতিল হবে। পরবর্তীকালে যখন নতুন আইন হবে, এটার বেসিক অ্যাপ্রোচ থাকবে সাইবার সুরক্ষা দেয়া, নাগরিককে সুরক্ষা দেয়া বিশেষ করে।”
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ উপদেষ্টা গত সোমবার বলেছিলেন, “এক সপ্তাহের মধ্যে আইনটি বাতিল হবে এবং এ আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে। শুধু এই আইন নয়, মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”