সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, বন্ধ হয়ে গেছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিএনপি জামাতের একটি মহল দেশে, বিদেশে অপপ্রচার করছে যে সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেছে কিন্তু তিনটি ডেটা সেন্টারসহ সাবমেরিন ক্যাবল, বিভিন্ন জায়গার অপটিক্যাল ক্যাবল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সরকার দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারাদেশে এক লক্ষ গাছের চারা রোপণের কর্মসূচি ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুন কান্তি সিকদার। উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব মো: সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মো, মুশফিকুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীন, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “অবকাঠামোগত যে ক্ষতি তা কোন সাধারণ ছাত্র করেনি। সাধারণ নিরীহ শিক্ষার্থীদের ব্যানার নিয়ে পেছন থেকে সন্ত্রাসী কার্যযক্রম চালিয়েছে বিএনপি জামাত। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলনকে তারা সহিংসরূপ দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন সফল হওয়ার পর হামলা করেছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। দেশের ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের মধ্যে ১৮টির ডেটা এই তিনটি ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা। দুই দিন পর তাঁরা জানতে পেরেছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কাঁচপুরে সাবমেরিনের কিছু ক্যাবল ওপরের দিকে ছিল, সেগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা যতদ্রুত সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আগামীকাল রোববার সকালে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক হবে। আলোচনা সাপেক্ষে রোববার-সোমবারের মধ্যে ফোর-জি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। স্বল্পোন্নত, প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়া দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নত করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে সজীব ওয়াজেদ জয়। পরিকল্পিতভাবে যে দূরত্ব তৈরি করা হয়েছে সরকারের সঙ্গে ছাত্রদের তা সরকার দূর করতে চায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে তিন দিন সহিংসতা হয়েছে, ওই সময় দেশের চিহ্নিত কিছু জায়গা থেকে প্রায় এক লাখ সিম ঢাকা ও এর আশপাশে ঢুকেছে। দেশের সামগ্রিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে চাই। এ ছাড়া ১৭টি জায়গায় যারা আহত, নিহত হয়েছে তাদের ও তাদের পরিবারের প্রতিসমবেদনা জানান তিনি।”
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে শুরু হওয়া সংঘর্ষের মধ্যে ১৮ জুলাই রাত পৌনে ৯টার পর থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। ব্রডব্যান্ড সংযোগ ২৩ জুলাই চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেট এখনো বন্ধ।