সফটওয়্যার সমস্যা দ্রুত সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়

ক.বি.ডেস্ক: ভূমিসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ভূমি মন্ত্রণালয় প্রস্তুতকৃত সফটওয়্যারগুলো থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা কিছু কারণে বিঘ্নিত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে, দ্রুত সমস্যার সমাধানে জোর কারিগরি ও কৌশলগত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘জনবান্ধব, হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদানের জন্য সফটওয়্যার সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে ভূমি মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ কাঙ্খিত ভূমিসেবা পেতে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের সকল ভূমি মালিকদের নিকট হতে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে’।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমিসেবা সহজীকরণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ১টি নতুন সফটওয়্যার ও ৪টি সফটওয়্যারের ২য় ভার্সন গত ১ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করেন। জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে নাগরিকবান্ধব এ সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।
ই-নামজারি,অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর, ই-পর্চা ও মৌজা ম্যাপ (খতিয়ান) প্রাপ্তির জন্য নাগরিককে প্রথমেই এলএসজি’র (ল্যান্ড সার্ভিস গেটওয়ে) মাধ্যমে প্রোফাইল তৈরি করে নিবন্ধন করতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় নাগরিককে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে। উদ্বোধনকৃত সফটওয়্যারগুলোতে পুরাতন সংস্করণ থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য স্থানান্তর করতে হয়েছে। ফলে, এ মুহূর্তে সিস্টেমগুলো একটু ধীর গতিতে চলছে। তাছাড়া সেবা প্রদান এবং সেবা গ্রহনে কিছু কারিগরি জটিলতা ও ক্রটি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ বিষয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত প্রাপ্ত ফিডব্যাক অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এসব ত্রুটি সমাধানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পের একটি শক্তিশালী কারিগরি টিম গঠন করা হয়েছে এবং এ টিম দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে সফটওয়্যারগুলো ধীর গতিসম্পন্ন হওয়ায় নাগরিকগণ ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান সেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে।
সেবা প্রাপ্তিতে এ গতি শীঘ্রই বৃদ্ধি পাবে। এজন্য ভূমিসেবা প্রদানকারী মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ যাতে নাগরিকদের ধৈর্যসহকারে, আন্তরিকতার সাথে কাঙ্খিত সেবা প্রদান করেন সে বিষয়ে ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অনলাইন ভূমিসেবা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ম্যানুয়াল তৈরি করে সরবরাহ করা হয়েছে।
ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ গত ১০ ডিসেম্বর সভা করে সমস্যা সমাধানের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।