শিল্পের উন্নয়নে জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নেতৃত্বে বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতে চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে সেমিকন্ডাক্টর শীর্ষক একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর চিপ ডিজাইন, টেস্টিং এবং অ্যাসেম্বলিং সক্ষমতাকে আরও এগিয়ে নিবে।
নব গঠিত জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্সের কাজ হবে সেমিকন্ডাক্টর খাতে তাৎক্ষণিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করা, নীতি ও দক্ষতার ঘাটতি দূর করা এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো ও প্রণোদনা কাঠামো প্রস্তাব করা। এই টাস্কফোর্স আগামী জানুয়ারির শেষ নাগাদ কার্যকর ফলাফল উপস্থাপন করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
গত ১ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং বিডার হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান রোচিকে সদস্য সচিব করে ১৩ সদস্যের জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যরা হলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আইসিটি সচিব, উল্কাসেমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. এনায়েতুর রহমান, প্রাইম সিলিকন টেকনোলজির চেয়ারম্যান ইশতাক আহমেদ, নিউরাল সেমিকন্ডাক্টরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার, বুয়েট’র ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. এ বি এম. হারুন-উর-রশিদ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. ইয়াসিম পারভেজ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রোভিসি প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, গ্রিনকোয়েস্ট (ইউএসএ) এর প্রতিষ্ঠাতা মাশুক রহমান, সিলিকন ভ্যালির সেমিকন্ডাক্টর বিশেষজ্ঞ মোস্তাফিজ চৌধুরী এবং আইডিএফ নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম।
আশিক চৌধুরী বলেন, “এশিয়া-প্যাসিফিক সাপ্লাই চেইনের কাছাকাছি অবস্থান, প্রতিযোগিতামূলক শ্রম ব্যয় কম থাকা এবং দক্ষ যুবশক্তির কারণে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর খাতের জন্য বাংলাদেশ একটি আদর্শ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর খাতের উন্নয়নে আমরা শিল্পনেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিয়া, নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি (এনআরবি) ব্যবসায়ী নেতাসহ শীর্ষ পর্যায়ের নীতি নির্ধাকদের অভিজ্ঞতাকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। যা ভবিষ্যতে আমাদের উদ্ভাবন নির্ভর অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।”