শিক্ষার্থীদের সহায়তায় হুয়াওয়ের ডিজিটাল সমাধান
করেনা মহামারির এ পরিস্থিতে স্কুল থেকে দূরে থাকা শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা সহজ করতে বিজয় ডিজিটালের সঙ্গে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে শুরু করেছে ‘ব্রিজিং গ্য ডিজিটাল এডুকেশন ডিভাইড টু রিডিউস গ্য গ্যাপ’ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতায় রযেছে ইউনেস্কো বাংলাদেশ।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী টিঅ্যান্ডটি হাই স্কুলগুলোতে প্রিস্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে হুয়াওয়ে স্মার্ট ডিভাইস, বিজয় ডিজিটাল অ্রাপ ও কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেয়া হবে। করেনা মহামারির শুরু থেকেই দেশের সকল স্কুল বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এই পরিস্থিতে অনেক স্কুল দূনশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশব্যপী বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা নেই। তাই ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে বিনা মূল্যে ডিভাইস ব্যবহারের সুবিধা শিক্ষা খাতের রুপান্তরে এবং বৈশ্বিক মহামারির মতো পরিস্থিতিতেও দেশে স্বাক্ষরতার হার বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ উদ্যোগের কথা ঘোষনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিয়োগায়োগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিয়োগায়োগ সচিব নূর-উর-রহমান, বিটিসিএলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন, বাংলাদেশের ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন, হুয়াওয়ে টেকনোলিজিস বাংলাদেশের সিইও ঝাং ঝেংজুন, বিজয় ডিজিটালের সিইও জেসমিন জুঁই এবং টিঅ্যান্ডটি হাই স্কুলের অধ্যক্ষ্ হালিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনা মহামারির বিস্তার রোধে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষনা দেয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যে সকল শিক্ষার্থী পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছে না, তাদের জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এবং জাতিসংঘের সংস্থার সঙ্গে হুয়াওয়ের এই উদ্যোগ বেশ আশাব্যঞ্জক। এটি ডিজিটাল রুপান্তরের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঝাং ঝেংজুন বলেন, সম্পূর্ণরুপে কানেক্টেড ও ইনিটলিজেন্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে লক্ষ্য অর্জনে হুয়াওয়ের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সকল ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তির শিক্ষা লাভ ও সুযোগ প্রাপ্তির অধিকার রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে তার সমাধান হবে। স্কুলগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়া গেলে তা সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদাযের মাঝে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করবে।