“লেটস রিড টুগেদার” প্রকল্প এর সাফল্য উদযাপন
ক.বি.ডেস্ক: দ্যা “লেটস রিড টুগেদার” প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের পাঁচটি জেলার শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার, উৎপাদনশীল স্ক্রিন টাইম এবং ডিজিটাল শিক্ষা প্রচার করা এবং লেটস রিড, এশিয়ার প্রধান বিনা মূল্যের ডিজিটাল শিশুদের গল্পের বইয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে ২৫০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এশিয়া ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্বে জাগো ফাউন্ডেশন দ্বারা বাস্তবায়িত হয় এই প্রকল্পটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বনানীর একটি হোটেলে দ্যা “লেটস রিড টুগেদার” প্রকল্পটির সাফল্য উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভী রাকসান্দ। এ সময় অনুষ্ঠানে যুব স্বেচ্ছাসেবক, এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি, মার্কিন দূতাবাস, ব্রিটিশ হাইকমিশন, এফসিডিও, ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন, ইউনেস্কো, আইআরআই, সেভ দ্য চিলড্রেন, একশনএইড, ওয়াটারএইড, টিচ ফর বাংলাদেশ, বিওয়াইএলসি, অক্সফাম, ব্র্যাকের মতো বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাসহ ৭০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
ইভেন্টটি প্রকল্পের সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জগুলোকে প্রতিফলিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম ছিল এবং অংশগ্রহণকারীরা শিখে নেয়া সাফল্যের গল্প এবং চ্যালেঞ্জগুলো শেয়ার করে। জেলা-পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকরা সৃজনশীল উপকরণের মাধ্যমে প্রকল্পের অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করেছেন এবং টার্গেট জেলাগুলোর স্কুল এবং সম্প্রদায়গুলোতে ইন্টারনেট সুরক্ষা এবং উত্পাদনশীল স্ক্রিন টাইম প্রচারে তাদের অসামান্য কাজের জন্য প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে একটি প্যানেল আলোচনায় প্রকল্পের অর্জন এবং চ্যালেঞ্জগুলোর পাশাপাশি সম্ভাব্য টেকসই কৌশলগুলোর ওপর আলোকপাত করা হয়। এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্টের পরিচালক আইনী ইসলাম, অক্সফাম জিবি’র সিনিয়র উপদেষ্টা টনি মাইকেল গোমেজ এবং লেটস রিড টুগেদার-খুলনা বিভাগের যুব প্রতিনিধি ইসরাত জাহান বানীসহ মোট তিনজন প্যানেলিস্ট অংশগ্রহণ করেন। প্যানেলটি পরিচালনা করেন জাগো ফাউন্ডেশনের যুব উন্নয়ন কর্মসূচির ডেপুটি ম্যানেজার সৌরভ সাহা।
করভী রাকসান্দ বলেন, সহযোগিতা এবং সমর্পণ হল শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ডিজিটাল শিক্ষার প্রচারে সাফল্য অর্জনের চাবিকাঠি। লেটস রিড টুগেদার প্রকল্পটি যখন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিরা একটি অভিন্ন লক্ষ্যের দিকে একসঙ্গে কাজ করে তখন কী অর্জন করা যায় তার একটি দুর্দান্ত উদাহরণ।
কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ বলেন, উন্নয়নশীল এশিয়ার অনেক শিশুরই রঙিন, আকর্ষক গল্পের বইয়ের অ্যাক্সেস নেই যা পড়া এবং শেখার প্রতি অনুপ্রাণিত করে। আমাদের লেটস রিড প্ল্যাটফর্মটি গতিশীল অ্যাক্সেস প্রদান করে যাতে বাচ্চারা তাদের শেখার প্রয়োজনের সঙ্গে খাপ খায় এমনভাবে বই পড়তে পারে। এটি একটি বিশেষ উদ্যোগ যাতে কমিউনিটি-ভিত্তিক পড়ার প্রোগ্রাম এবং শিশুদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার এবং উত্পাদনশীল স্ক্রীন টাইম নিয়ে সফল প্রচারণা তৈরি করা যায়।