উদ্যোগ

রুয়েট সিএসই ফেস্ট ২০২২

ক.বি.ডেস্ক: দেশের অন্যতম টেক কার্নিভাল ‘‘রুয়েট সিএসসি ফেস্ট ২০২২’’ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়ার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতশ’র বেশি শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়ার জন্য দেশের ৭০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজারেরও বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করেছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের প্রকল্প ও আইডিয়ার ভিত্তিতে বিচারকগণ সাতশ’রও বেশি শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করেছেন। এই প্রতিযোগিতার টেকনোলজি পার্টনার হুয়াওয়ে।

রুয়েট সিএসই ফেস্ট ২০২২: এবারের প্রতিযোগিতাটিকে আটটি সেগমেন্টে ভাগ করা হয়েছে। এ সেগমেন্টগুলো হচ্ছে:আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং, টেক প্রোজেক্ট, আইডিয়া/পোস্টার ডেভেলপমেন্ট, লাইন ফলোয়ার রোবট মেকিং, গেমিং, টেক ফটো প্রদর্শন, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং আইইইই এর সঙ্গে কর্মশালার আয়োজন। নতুন দক্ষতা রপ্ত করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

আগামী ০৪ জুন এ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন।

রুয়েট’র সিএসই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. আল মামুন বলেন, উদ্ভাবনী সব আইডিয়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। আজকের তরুণরাই আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিবে; তাই এসব সম্ভাবনাময় তরুণদের সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ্র গ্রহণ করা আমাদের দায়িত্ব। রুয়েট সবসময়ই তরুণদের বিকশিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং আগামী দিনগুলোতেও হুয়াওয়ের মতো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় আমরা এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান ইউইং কার্ল বলেন, তরুণরাই দেশ গড়ার কারিগর; আর তরুণদের সম্ভাবনায় হুয়াওয়ের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা যেসব দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করি, সে সব দেশের তরুণদের বিকাশে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের তরুণরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী আইডিয়া ও অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। একটি সম্পূর্ণ কানেক্টেড ও ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব  তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে হুয়াওয়ে – এ লক্ষ্য অর্জনে তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। আমাদের ধারাবাহিক অংশীদারিত্ব ও প্রচেষ্টা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরকে ত্বরাণ্বিত করবে বলে প্রত্যাশা করছি।    

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *