সাম্প্রতিক সংবাদ

ভূমি সেবা অনলাইনে যুক্ত হওয়ায় দৈনিক রাজস্ব প্রায় ১২ কোটি টাকা

ক.বি.ডেস্ক: ভূমি সেবায় অনলাইন সংস্করণ যুক্ত হওয়ার ফলে দৈনিক গড়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ভূমি সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে সন্তুষ্টির মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্তোষজনক ভূমি সেবার জন্য ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন অপরিহার্য। ভূমিসেবা নিশ্চিতে কর্মকর্তাদের সার্ভে-ও-সেটেলমেন্ট-প্রশিক্ষণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে এবং তা প্রারম্ভিক পর্যায় সম্পন্ন করতে হবে।

গতকাল রবিবার (২৫ মে) রাজধানী ঢাকার সাত রাস্তায় ভূমি ভবনে ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ‘ভূমি মেলা-২০২৫’- এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এ কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এ জে এম সালাহউদ্দিন নাগরী, ভূমি অ্যাপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইবরাহিম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক।

উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, সংস্কার ও অর্জন বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর ও খতিয়ান সেবা শতভাগ অনলাইন করাসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় পেমেন্ট ক্যাশলেস করা হয়েছে। বিদ্যমান প্রযুক্তিনির্ভর অটোমেটেড ভূমিসেবাসমূহ সেবাগ্রহীতাদের নিকট জনপ্রিয় করাসহ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় তথা রাজস্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সুষ্ঠু জরিপ কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে ভূমিসেবায় নতুন মাত্রা যুক্ত হবে আর এ জন্য প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।”

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “গত ১৫ বছর বলা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ অথচ সেটা ডিজিটাল বাংলাদেশ না হয়ে হয়েছে কিছু ডিজিটাল আইল্যান্ড। আইল্যান্ডগুলোর মধ্যে ইন্টার কানেক্টিভিটি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সেবা সমূহ ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনে বেশ এগিয়ে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস এখন একটি জায়গায় পাওয়া যাবে, এর মাধ্যমে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন গতি পাবে। এ ট্রান্সফরমেশনকে দুই ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। একটি হলো মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোর ট্রান্সফরমেশন দ্বিতীয়টি হচ্ছে নাগরিক সেবা নামে একটি প্লাটফর্ম। এই নাগরিক সেবা নামটি প্রধান উপদেষ্টা নির্ধারণ করেছেন।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *