ভার্চুয়াল মিউজিয়ামে প্রাচীন ঐতিহ্য দেখে মুগ্ধ শিক্ষার্থীরা
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সব স্থান ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঘুরে দেখে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে টাঙ্গাইলের আনন্দপাঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ীরা ভার্চুয়াল রিয়েলেটি (ভিআর) হেডসেটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ঘুরে দেখেন ষাট গম্বুজ মসজিদ, পানাম নগরী, বড় সরদারবাড়ি, ছোট সোনা মসজিদ ও এগারো শিব মন্দির। সম্প্রতি ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
ভার্চুয়াল মিউজিয়াম:
ভার্চুয়াল মিউজিয়ামে এরইমধ্যে বাংলাদেশের ৬টি ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানগুলো হলো- ষাট গম্বুজ মসজিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট সোনা মসজিদ, সোনারগাঁওয়ের বড় সরদার বাড়ি, নারায়ণগঞ্জের পানাম নগর, দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির ও যশোরের ১১ শিবমন্দির। যে কেউ virtualmuseumbd.com ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন এবং একটি ভিআর হেডসেটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই ছয়টি স্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।
প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার আহামেদ জামান সঞ্জীব বলেন, আমরা চাই দেশের সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশ দেখুক; যা শীক্ষার্থীদের এদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি শিক্ষায় একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটা হয়তো একদিনে সম্ভব নয়। দেশের যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে যেকোনো প্রান্তে গিয়ে এই ধরণের প্রদর্শনী করতে আমরা প্রস্তুত।
আনন্দপাঠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা ইয়াসমিন মলি বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই শিশুদের আনন্দমূখী শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করছি। ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশের এই বিশেষ প্রদর্শনী এমনই আরেকটি প্রচেষ্টা। স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা নতুন এ প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হলো। যা বর্তমান সময়ের সঙ্গে একই গতিতে এগিয়ে যেতে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি।
ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশ চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রথম ভার্চুয়াল মিউজিয়াম হিসেবে প্রটোটাইপের উদ্বোধন করে। এরপর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হলেও ঢাকার বাইরে এবারই প্রথম।