ব্লেন্ডেড শিক্ষায় এডুকেশন টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা
ক.বি.ডেস্ক: কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, গুণগত শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিবেচনায় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একটি সময়োপযোগী এবং বাস্তবায়নযোগ্য ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়নে শিক্ষা খাতে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এবং ব্লেন্ডেড শিক্ষা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের গবেষণা ও উন্নয়ন উপ-কমিটির আয়োজনে এবং এটুআই ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) ‘‘বাংলাদেশের ব্লেন্ডেড শিক্ষায় এডুকেশন টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা’’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমীন এবং এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী। সভার সভাপতিত্ব করেন ব্লেন্ডেড শিক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন উপ-কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল করিম।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এডটেক প্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ব্লেন্ডেড শিক্ষা কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেক এডটেক উদ্যোক্তারাও কাজ করছেন। ব্লেন্ডেড শিক্ষা বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ বেশি। শিক্ষক স্বল্পতা, শিক্ষকদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান, যথেষ্ট রিসোর্সেরও অভাব রয়েছে। শিক্ষায় উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা রেগুলেটরিভিত্তিক না হয়ে বরং সহযোগিতামূলক হবে। সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য ডিভাইস, কান্টেটিভিটি, কন্টেন্ট, এলএমএস এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
আনীর চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে ব্লেন্ডেড এডুকেশনের জন্য কন্টেন্ট তৈরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে, সেদিকে মনযোগ দেয়ার পাশাপাশি শিখন-শেখানো কার্যক্রম, শিক্ষকদের সক্ষমতা উন্নয়ন, মূল্যায়ন ব্যবস্থাপনা এবং এলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উদ্ভাবনের জন্য এডটেক প্রতিষ্ঠানসমূহকে জোর দিতে হবে। পার্টনারশিপের ভিত্তিতে কন্টেন্ট তৈরির উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন এবং এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিদপ্তরগুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারে। প্রয়োজনীয় পলিসি সাপোর্ট, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট এবং ফান্ডিং সাপোর্ট নিশ্চিত করতে পারলে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
সভায় ব্লেন্ডেড শিক্ষা মহাপরিকল্পনা কার্যক্রম এবং এ বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআইর পলিসি স্পেশালিস্ট (এডুকেশনাল ইনোভেশন)আফজাল হোসেন সারওয়ার।