বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ফান্ডিং করা হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকতার বাইরে গত এক বছরে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা তরুণদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্মাননা এবং তাদের সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করা হবে। তাদের উদ্ভাবনায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ফান্ডিং করা হবে। তরুণদের উদ্ভাবনের পরিবেশ বাস্তবায়ন না করলে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন সফল হবে না।
আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিসিসি মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগ আয়োজিত ‘২৬ তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড’- এ বাংলাদেশ দলের বিজয়ীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটির সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং এটুআই প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিআরও সভপতি লাফিফা জামাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যন্ড মেকাট্রনিক্স বিভাগের প্রধান সেঁজুতি রহমান। সঞ্চালনা করেন আইসিটি অধিদপ্তরের পরিচালক মু. খায়রুজ্জামান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সঙ্গে তাদের কোচ মিশাল ইসলামকেও শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন পদকজয়ী আরিয়েত্রী ও আবরার আবীর। ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক রোবট অলেম্পিয়াডে ভালো করছে বাংলাদেশ। এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে জিতেছে ১০টি পদক। আগামী ডিসেম্বর ২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে বসবে ২৭তম আসর।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “এখন থেকে আইসিটি বিভাগ দেশের কৃতি সন্তানদের নিয়মিত সংবর্ধনা দেবে। পাশাপাশি যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন তাদের লজিস্টিক, কারিগরি এবং ট্রেনিং সহায়তাও প্রদান করা হবে। এটি আইসিটি বিভাগের পাশাপাশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও করবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যেই সৃজনশীলতা রয়েছে তার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। যেহেতু নতুন স্টার্টআপগুলোর অধিকাংশই প্রযুক্তিনির্ভর সেজন্য এক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগের এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা পাঁচটি বিভাগের সামিট করেছি এরপর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজকে গ্রুপে বিভক্ত করে স্টার্টআপ সামিট করবো।”
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “প্রযুক্তি যতই দ্রুত ছুটুক না কেন আমাদের ক্ষুদে বিজয়ীরা বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা পিছিয়ে নেই। আমরা আজ আত্মবিশ্বাসী তাই আগামী আসরে তাদেরকে উদার হস্তে সহযোগিতা করবে আইসিটি বিভাগ।”
মোহাম্মাদ আনোয়ার উদ্দীন বলেন, “রোবটিক সরঞ্জাম ও রোবটিক ল্যাব স্বল্পতায় ছয়টি আসরে যোগ দিতে পারেনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। এজন্য একটি রোবটিক গবেষণা সেন্টার স্থাপন করা হবে। আগামীতেও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সহায়তা করবে।”