বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড পেলো ৬৮টি প্রকল্প
ক.বি.ডেস্ক: দেশের সফটওয়্যার ও আইসিটি সেবা খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর আয়োজনে পঞ্চমবারের মতো প্রদান করা হলো ‘‘বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২’’। দেশের আইসিটি খাতের উদ্ভাবনীমূলক পণ্য ও সেবা প্রকল্পসমূহকে স্বীকৃতি দিতে এবারের আসরে মোট ৩৬টি ক্যাটাগরিতে ৬৮টি প্রকল্পকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত সেরা প্রকল্পসমূহ অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস-এর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
গতকাল সোমবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে ‘বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২’ এর আট ক্যাটাগরির ৩৬টি সাব-ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে পুরষ্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেয়া হয়। অনলা্ইনে সংযুক্ত ছিলেন প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২-এর আহবায়ক ছিলেন বেসিস অ্যাডভাইজরি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এম রাশিদুল হাসান; প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন বেসিস প্রেসিডেন্টস অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ এইচ কাফি ও সহ-আহবায়ক হিসেবে ছিলেন বেসিস অ্যাডভাইজরি স্থায়ী কমিটির সদস্য লিয়াকত হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজ যারা বিজয়ী হয়েছে তারা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আইসিটি অস্কার এপিকটা প্রতিযোগিতায় লড়াই করবে। বর্তমান বিশ্বে সফটওয়্যার হচ্ছে ভবিষ্যত অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন-২০৪১ দিয়েছেন, একটি বুদ্ধিদীপ্ত, সাশ্রয়ী, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশের, সেখানে মূল চালিকাশক্তি হবে সফটওয়্যার শিল্প থেকে আমাদের রপ্তানী আয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পুর্ণভাবে সফটওয়্যার শিল্প নির্ভর হয়ে যাবে।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন,২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য মুল চারটি উপাদান থাকবে। তার মধ্যে সরকার হবে স্মার্ট, সোসাইটি হবে স্মার্ট, সিটিজেন হবে স্মার্ট এবং আমাদের ইকোনমি হবে স্মার্ট। এই চারটি উপাদান নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমি আশা করি সেই যাত্রায় এখানে যারা কাজ করছেন সেই যাত্রায় অংশীদার হবেন।
রাসেল টি আহমেদ বলেন, ই-গভর্নেস এর প্রকল্পের কাজ দেশিয় আইসিটি প্রতিষ্ঠান করে থাকে। সেই কাজে সংশ্লিষ্ট বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানকে যেন স্বীকৃত দেয়া হয়। যে প্রতিষ্ঠান প্রকল্পে কাজ করছে সেখানে যেন ঐ প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকে। এতে করে বিদেশেও কাজ পেতে আমাদের জন্য সহজ হয়। পাশাপাশি দেশের ইন্ডাস্ট্রি ব্র্যান্ডিং এবং দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বেসিসকে সম্পৃক্ত করার দাবিও জানান তিনি।