বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২০
ক.বি.ডেস্ক: আলো ঝলমলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘‘বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২০’’ এর অ্যাওয়ার্ড প্রদান। আইসিটি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) উদ্যোগে এবার চতুর্থবারের মতো প্রদান করা হলো এই অ্যাওয়ার্ড। গতকাল রবিবার (২৭ জুন) আরটিভিতে সম্প্রচারিত হওয়ার মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয় এবারের আয়োজন। বেসিসের উদ্যোগে এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স,দারাজ বাংলাদেশ ও আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, বেসিস আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২০ এর আহ্বায়ক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ কামাল, প্রধান বিচারক আবদুল্লাহ এইচ কাফি।
বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২০ ব্যক্তি, ছাত্র, উদ্যোক্তা, এসএমই এবং দেশের আইসিটি প্রতিষ্ঠানসমূহের উদ্ভাবনী এবং সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পগুলোকে বাছাই করে এবং উতসাহ প্রদান করার লক্ষ্যে পুরস্কার প্রদান করে। এ বছর ৩৬ টি ক্যাটাগরিতে ৫৯ টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ীরা পরবর্তীতে এশিয়ার আইসিটি খাতের অস্কার খ্যাত এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ডে (অ্যাপিকটা) অংশগ্রহণ করবেন। গত বছরের বিজয়ীদের প্রকল্পগুলো অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৯ অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণ করে তিনটি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন এবং পাঁচটি মেরিট পুরস্কারসহ মোট আটটি পুরস্কার অর্জন করে।
টিপু মুনশি বলেন, বেসিস থেকে আমরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেয়েছি। আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বেসিস সম্ভাব্য ৫টি সম্ভাবনাময় বাজারের কথা বলেছে। কিভাবে এই খাতের রপ্তানি বাড়ানো যায়, নতুন নতুন বাজার তৈরি করা যায় এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বেসিস একসঙ্গে কাজ করবে। আমি দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থায় দেশে তৈরি সফটওয়্যার ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, আমরা এখন মেইড ইন বাংলাদেশের ওপর জোর দিচ্ছি। আগামীতে আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার দেশেই তৈরি হবে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বিজয়ী প্রকল্পগুলো যেন হারিয়ে না যায়। প্রকল্পগুলো যাতে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় সে দিকে আমাদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এই অ্যাওয়ার্ডসের মাধ্যমে আমরা সারাদেশের উদ্ভাবনী এবং সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পগুলোকে বাছাই করি এবং উতসাহ প্রদান করার লক্ষ্যে পুরষ্কার প্রদান করি। আমাদের তৈরি সফটওয়্যার দিয়েই এবার আমরা এবারের আয়োজনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। এখন থেকে আমরা আর বিদেশ থেকে সফটওয়্যার আমদানি করতে চাই না।