বেসিসের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা
দেশের সফটওয়্যারখাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে আইসিটি ভবনের অবস্থিত বিসিসির অডিটরিয়ামে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে সভায় সরাসরি উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ এবং পরিচালক রাশাদ কবীর। ভার্চুয়ালে সংযুক্ত ছিলেন পরিচালকত্রয় তামজীদ সিদ্দিক স্পন্দন, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম এবং পরিচালক দিদারুল আলমসহ বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।
বেসিসের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম,বেসিসের সাবেক পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, বেসিস স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানবৃন্দ, কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।
সভায় বেসিস সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ বেসিসের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এবং কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরেন। সহ-সভাপতি (অর্থ)মুশফিকুর রহমান বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ২০২০ সালে বেসিস সদস্যদের কল্যানে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অন্যতম হল, সরকারী ক্রয় নীতিমালায় দেশের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরএফপি টেমপ্লেট জারি করার প্রক্রিয়া ত্বরান্তিতকরণ, আইটিইএস সেবাখাতের জন্য নতুন নতুন টিএ প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন, দাতা বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়নসহ সরকারি ক্রয়ে বাংলাদেশে উতপাদিত ডিজিটাল ডিভাইস পণ্য, সফটওয়্যার বা আইটি পরিষেবাকে অগ্রাধিকার প্রদান করার পাশাপাশি দাতা বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়নে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার যোগ্যতার শর্তাবলীতে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করার প্রস্তাব প্রেরণ, ই-গভ পোর্টাল তৈরী, করোনকালীন সময়ে সফটওয়্যার ও আইটিএস প্রতিষ্ঠান চলমান রাখার জন্য এবং এ খাতে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দাখিল করা, মানবসম্পদ বিধিমালা ও নির্দেশিকা প্রণয়ন, জাপান ডেস্ক স্থাপন, ডায়নামিক ওয়েবসাইট ও অ্যাপ তৈরী, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা চালু, ডাটা প্রাইভেসি এবং ডাটা প্রটেকশন সংক্রান্ত খসড়া গাইডলাইন তৈরী প্রভৃতি। বেসিসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সদস্যদের কল্যাণ সাধন। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যাতে বেসিস সদস্যদের বিপর্যস্ত করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে সদস্যদের এখনই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান।
সভায় বেসিস কর্তৃক আন্তর্জাতিক বাজার তৈরী নিয়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ, সরকারি কাজে বাংলাদেশি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের অগ্রাধিকার নিশ্চিতকরণ, ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ, এইচআর সম্পর্কিত কর্মশালা অব্যাহত রাখা, আন্তর্জাতিক ইভেন্টে উপস্থিতি বৃদ্ধিকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য নগদ প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ বেসিসের ইতোপূর্বে গৃহিত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বেসিস সদস্যরা।