বেসিস’র ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ সম্প্রসারণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালা
ক.বি.ডেস্ক: সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সকল লেনদেনের ৩০% ক্যাশলেস বা ডিজিটাল মাধ্যমে হয় সেটির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে এই টার্গেট থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টর। এই সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ সম্প্রসারণের উপায়’ শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
গতকাল শনিবার (২৩ মার্চ) বেসিস মিলনায়তনে ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট বিষয়ক বেসিস স্ট্যান্ডিং কমিটি আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক মো. মোতাসেম বিল্লাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ জিয়াউল হক।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ সহ বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যাংকের ডিজিটাল পেমেন্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিবৃন্দ, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিভিন্ন ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। সভাপতিত্ব করেন ফিনটেক অ্যান্ড ডিজিটাল বেসিস’র স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম মাশরুর। সঞ্চালনা করে বেসিসের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
ক্যাশলেস পেমেন্টের চ্যালেঞ্জ হিসাবে বক্তারা তুলে ধরেন
স্মার্টফোন ও অ্যাপ ব্যবহারের, ছোট দোকানদারদের ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণের ব্যাপারে অনীহা, ব্যাংকের অ্যাপ ব্যবহারের জটিলতা, উচ্চ ট্রান্সাকশন খরচ, বাংলা কিউ আর সংক্রান্ত কারিগরি জটিলতা, গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতার অভাব ইত্যাদি।
ক্যাসলেস পেমেন্ট বাড়ানোর জন্য কর্মশালায় বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়
ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়ানোর জন্য গ্রাহক ও ক্ষুদ্র দোকানদার উভয় পর্যায়েই প্রণোদনা দেয়া জরুরি। ক্যাশ টাকার ব্যবহার কমানোর জন্য প্রয়োজনে ক্যাশ লেনদেনের ওপর অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করা যেতে পারে। ক্যাশলেস পেমেন্ট পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে ব্যাংক ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠান সম্মিলতভাবে জনসচেতনতা তৈরীতে এগিয়ে আসতে হবে।
ব্যাংকগুলোকে শুধুমাত্র বড় শহরে কাজ না করে উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে কাজ করতে হবে। বাংলা কিউ আর পেমেন্ট জনপ্রিয় করতে প্রতিটি ব্যাংকে তার গ্রাহকদের জন্য মোবাইল অ্যাপ নিয়ে চালু করতে হবে। যাদের অ্যাপ আছে, সেগুলোর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য আরও অনেক সহজ ও ইউসার ফ্রেন্ডলি করতে হবে।
ছোট দোকানদাররা যাতে গ্রাহকদের থেকে নেয়া ডিজিটাল পেমেন্ট যাতে সাপ্লায়ারদের বা পাইকারি বিক্রেতাদের ক্যাশলেস ভাবে দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল টাকা যাতে সহজে ক্যাশ টাকা হিসাবে উত্তোলন করা যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে রিয়েল টাইম পেমেন্ট ও ইন্টারপারেবিলিটি নিশ্চিত করতে হবে।