বিসিসি’র ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল’র (বিসিসি) ডিজিটাল সিলেট সিটি (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘‘হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’’ এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিসিসি’র মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রণজিত কুমার। বিসিসি’র ডিজিটাল সিলেট সিটি (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর’র এমআইএস অ্যান্ড লাইন পরিচালক (এইচআইএস এবং ইহেলথ) প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন এবং সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন হতে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই আইসিটির ব্যবহার হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের গুরুত্ব অনেক। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে স্বাস্থ্য সেবায় স্মার্ট প্রযুক্তি যে বড় একটা জায়গা দখল করে নেবে সেটা স্পষ্টত। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তির বিকল্প নেই। তাই চিকিতসা প্রদানের পাশাপাশি হাসপাতাল বা মেডিকেল সেন্টারগুলোর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও আইসিটি এর যথোপযুক্ত ব্যবহার আনতে পারলে অধিকতর উন্নত সেবা প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
‘হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ এর আওতায় ৩১টি মডিউল সম্বলিত সফটওয়্যার উন্নয়ন করা হচ্ছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি মডিউলার ডাটা সেন্টার এবং প্রয়োজনীয় কমপিউটার হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং যন্ত্রপাতি ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের অর্থায়নে স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনের দায়িত্ব পালন করবে। বাস্তবায়ন পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ নিয়োজিত আছে। এর সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিলেট ও সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষ প্রযুক্তির কল্যাণে এই হাসপাতাল থেকে ডিজিটাল সেবা পদ্ধতির কারণে সহজে ও দ্রুত সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।