বিসিএস-এর ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ক.বি.ডেস্ক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সঙ্গে একাত্ন হয়ে কাজ করার প্রত্যয়ে এবং এমআরপি নীতিমালা বাস্তবায়ন, বিসিএস এর সদস্যদের তথ্যসমৃদ্ধ ডাটাবেজ করা, ফোরআইআর প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) এর ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় এ বছরে মৃত্যুবরণকারী ৩জন বিসিএস সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে বিসিএস এর একটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ সীমান্ত সম্ভারের বিজিবি ব্যাঙ্কুয়েট হলে বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৩ সালের কার্যক্রম ও আর্থিক বিবরণী পেশ করার পাশাপাশি আগামী বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকারের সভাপতিত্বে সভায় সহ-সভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূইয়া, মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া, কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হেলালী, পরিচালকত্রয় মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং মোশারফ হোসেন সুমনসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচ্যসূচি অনুসারে ৩১তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সভায় উপস্থাপন করেন বিসিএস সভাপতি। মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া ২০২৩ সালের কর্মকাণ্ডের বিবরণী এবং কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হেলালী ২০২২-২৩ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।
২০২৩ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য সমিতির বাজেটের উপর সভায় উপস্থিত সদস্যরা তাদের মতামত প্রদান করেন। সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও মতামতের আলোকে বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচ্যসূচিসমূহ অনুমোদিত হয়।
বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, বিসিএস দেশব্যাপী প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন। চলতি বছরে আমরা নতুন আরও দুইটি শাখা চালু করেছি। বর্তমানে বিসিএস ১১টি শাখা এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি সদস্যদের নিয়ে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তিবান্ধব সরকার এবং আইসিটিতে দক্ষ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদায় উপনীত করেছে। এই কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার বিসিএস।
বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভুইয়া বলেন, আমরা সদস্যদের তথ্য, উপাত্ত, আমদানি, রপ্তানিসহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে একটি শক্তিশালী ডাটাবেজ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিসিএস এর একটি সদস্যবান্ধব নিজস্ব ভবন করার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। রাজধানীতে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করতে ঢাকা উত্তরে আমরা আরও একটি শাখা কার্যালয় করার আশা ব্যক্ত করছি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের জন্য বাজার মনিটরিং সেল গঠনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগও আমরা আগামীতে বাস্তবায়ন করবো।