বিসিএসের ‘আধুনিক কর্মক্ষেত্র পরিচিতি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘ইন্ট্রোডাকশন টু মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। ১০ জুন (বুধবার) সন্ধ্যা সাতটায় অনলাইনে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিসিএস শাখা কমিটির নির্বাহী পরিষদ এবং সদস্য প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) কো-অর্ডিনেটর এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আবু ইউসুফ। বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর। পরিচালনা করেন স্মার্ট টেকনোলোজিসের সফটওয়্যার বিজনেসের প্রধান মো. মিরসাদ হোসাইন। সভার সূচনা করেন বিসিএস মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (মনি) এবং সঞ্চালনা করেন বিসিএস যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন।
অনলাইনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিসিএসের সহসভাপতি মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, কোষাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং পরিচালক মো. রাশেদ আলী ভূঁঞা। আধুনিক কর্মক্ষেত্র পরিচিতি সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন বিসিএসের সাবেক সভাপতি এস এম ইকবাল, গ্লোবাল ব্র্যান্ডের চেয়ারম্যান এ এস এম আবদুল ফাত্তাহ, স্মার্ট টেকনোলজিসের পরিচালক জাফর আহমেদ এবং রায়ান্স কমপিউটার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান জুয়েল।
এ এইচ এম. শফিকুজ্জামান বলেন, মডার্ন ওয়ার্কপ্লেসের ধারণা অনেক আগে থেকেই চলে এসেছে। মানুষ প্রতিনিয়ত তার কর্মক্ষেত্রকে যুগোপযোগী করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাসায় বসে অফিসের কাজ এমন ধারণা একসময় অমূলক থাকলেও গত দশকে আমরা এর আমূল পরিবর্তন দেখেছি। গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফটসহ যতো নামকরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা বহু আগে থেকেই বাসায় বসে কর্মীদের কাজের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। তবে বাসায় বসলেইতো আর হবে না। কাজ করার জন্য আপনার বাসার বসার ঘরে আপনার সুযোগ সুবিধা কতটা প্রশস্ত তাও দেখতে হবে।
মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা বাসায় বসে কীভাবে অফিসের কাজ করতে হয় তার একটি ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়েছি। একজন ব্যাংকারের জন্য একটা সময় অফিস ছাড়া কাজ করার সুযোগ ছিল না। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এখন সহজেই বাসাকে অফিসে রুপান্তর করতে পারি। দরকার অফিসকে পরিচালনা করার প্রযুক্তি জ্ঞান। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাসায় বসে নিজের কর্মক্ষেত্রকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে যেসব তথ্য এবং অ্যাপসের দরকার হয় এই প্রশিক্ষণে আমাদের সদস্যরা সেসম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে পারবেন।
মো. মিরসাদ হোসাইন বলেন, মডার্ন ওয়ার্ক বিষয়টা হলো নির্দিষ্ট কাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজে গতিশীলতা বাড়িয়ে দেয়া। ধরেন, একটা মানুষ পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর এবং দক্ষিণে ১ কিলোমিটির করে দৌঁড়াতে পারবে। এতে একটি কাজে যতো গতি দেয়া যায় তারচেয়ে নির্দিষ্ট একটি দিকে ৪ কি.মি. দৌঁড়ালে ফলাফলে যে পার্থক্যটা আসবে সেটি কাজের সফলতার বহিঃপ্রকাশ। মডার্ন ওয়ার্কপ্লেসে রাইট টুল পছন্দ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার সহায়ক যে টুলগুলো ব্যবহার করবেন তার সঠিক ব্যবহার করতে পারলে কাজ সহজ এবং গতিময় হবে। একজন বিজয়ী এবং বিজীত একসঙ্গেই কাজ শুরু করেন। কিন্তু বিজয়ী লক্ষ্য ঠিক করে সেখানে পৌঁছাতে সঙ্গে সঙ্গেই কাজে যুক্ত হয় কিন্তু বিজীত সেই কাজটি করেন না বলেই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি) এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।