বিপিও শিল্পের উন্নয়নে বাক্কো ও বিটিআরসি’র বিশেষ কর্মশালা
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের কল সেন্টার/ বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) শিল্পের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ এবং খাতটির টেকসই উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের রূপরেখা নির্ধারণে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ওঠে আসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ- কল সেন্টার ও বিপিও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সরলীকরণ, লাইসেন্স শর্তাবলী আধুনিকায়ন, নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ, আইসিটি খাতকে জরুরি সেবার আওতায় অন্তর্ভুক্তকরণ এবং কল সেন্টার গাইডলাইনের সংশোধন।
গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর যৌথ উদ্যেগে এই বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসি’র কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) ইকবাল আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম। উপস্থিত ছিলেন বাক্কো’র সহ সভাপতি মো. তানজিরুল বাসার, অর্থ সম্পাদক মো. আমিনুল হক, পরিচালক জায়েদ উদ্দীন আহমেদ, মেহেদী হাসান জুলফিকার, সায়মা শওকত এবং বাক্কো সচিবালয়ের নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) মো. মাহতাবুল হক।
কর্মশালায় বিপিও শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৭০টিরও অধিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। বাক্কো ভবিষ্যতেও এই খাতের টেকসই উন্নয়নে সরকার ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করবে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, অংশীদারিত্ব হস্তান্তর ফি এবং কঠোর বিধিনিষেধের কারণে নতুন উদ্যোক্তারা এই খাতে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, যা শিল্পের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই এ বিষয়ে বিটিআরসি’র কার্যকর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বিটিআরসি’র সহযোগিতায় বিপিও খাতের অপারেশনাল প্রতিবন্ধকতা দূর করে এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
ইকবাল আহমেদ বলেন, “বিপিও শিল্পের উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। টেলিযোগাযোগ খাতের বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
তানভীর ইব্রাহীম বলেন, “বিপিও শিল্পকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সম্প্রসারণ করতে হলে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং এবং বৈশ্বিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। আইএওপি-এর মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ এবং স্থানীয় বাজারে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাতটিকে শক্তিশালী করা সম্ভব।”