বিপিও খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বাক্কো-টিএমজিবি গোলটেবিল বৈঠক
ক.বি.ডেস্ক: বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাত হিসেবে বিপিও প্রতি বছর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করলেও এখনও বিপিও সম্পর্কে দেশের অনেক তরুণ জানেই না। বিপিও খাতের বিভিন্ন সমস্যা যেমন, দক্ষ কর্মীর অভাব, চাকরির দু-তিন মাসের মাথায় ছেড়ে দেওয়া, নির্দিষ্ট শিফটে কাজ না করার মানসিকতার মতো প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে। এ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার সংযোগ না থাকা, সামাজিকভাবে বিপিওতে কাজ করাকে ছোট হিসেবে দেখাকেও বিপিওর ক্ষেত্রে সংকট হিসেবে দেখছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল শনিবার (১৮ নবেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভিশন ২১ টাওয়ারের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত ‘দেশের বিপিও খাতের গতিপ্রকৃতি: সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনাারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিপিও খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এবং অতিথিরা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) ও প্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাক্কো’র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, সহ-সভাপতি তানভীর ইব্রাহিম, পরিচালক মুসনাদ ই আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিরুল বাসার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিজনেস প্রোমশন কাউন্সিলের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফয়সাল খান। সভাপতিত্ব করেন টিএমজিবি’র সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন এবং সঞ্চালনা করেন টিএমজিবি’র সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হক জুনায়েদ। বৈঠকে বিপিও নিয়ে কাজ করা বাক্কো’র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত টিএমজিবি’র সদস্যরা অংশ নেন।
দেশের বিপিও খাতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বাক্কো’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিরুল বাসার। টিএমজিবির নানান কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হক জুনায়েদ। আলোচনা থেকে এসব সমস্যা সমাধানে কিছু সুপারিশও উঠে আসে। পাশাপাশি খাতটিকে আরও পরিচিত করাতে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা রাখার বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের শতকরা ত্রিশ ভাগেরও বেশি প্রতিষ্ঠান এখন আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করছে। পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই হার শতকরা সত্তর ভাগে গিয়ে পৌঁছুবে বলে আমরা আশাবাদী। আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের কাজ যত বাড়বে, দেশের অর্থনীতিও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে ততটাই সমৃদ্ধশালী হবে।’’
তানভীর ইব্রাহীম বলেন, ‘‘সরকারিভাবে না হলেও আমরা নিজেদের তাগিদ থেকে বরাবরই বিপিও শিল্পের অগ্রগতিকে মাথায় রেখে রোডম্যাপ তৈরি করে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই রোডম্যাপে অংশীজন হিসেবে সবসময়ই সরকারের সম্পৃক্ততা ছিল। সরকারিভাবে আমরা বরাবরই পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছি। আজকের আয়োজনেও যেমন বিপিসি আমাদের সঙ্গে আছে।’’
মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন বলেন, ‘‘আজকের আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল বিপিও শিল্পের কর্তাব্যক্তিদের মুখ থেকে তাদের সমস্যা ও অভিযোগের কথাগুলো শোনা ও সমাধান খুঁজে বার করার চেষ্টা করা। পরের বার আমরা নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বসব একই বিষয়গুলো নিয়ে। এভাবে লেগে থেকে সংশ্লিষ্ট খাতের সকল সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান করব।’’