বিনিয়োগের আদর্শ গন্তব্য হয়ে ওঠেছে বাংলাদেশ: প্রতিমন্ত্রী পলক
ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিনিয়োগের আদর্শ গন্তব্যস্থল হয়ে ওঠেছে বাংলাদেশ। ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৩০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম টেলিকম শিল্পের দেশ। এই বিপুল সম্ভাবনার কারণে আরও বেশি ডিজিটাল পরিষেবা, স্মার্ট সমাধান এবং ডিজিটাল পণ্যগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন ইত্যাদির জন্য ইন্টারনেটভিত্তিক সমাধান ও পণ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে সামিট কমিউনিকেশনস গ্রুপের কোম্পানি সামিট টাওয়ার্স লিমিটেড এর “টাওয়ার্স অধিগ্রহণ উদ্যাপন’’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
টাওয়ার্স অধিগ্রহণ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ভিওন গ্রুপের সিইও কান টেরজিওগ্লু, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “সরকার নিজে ব্যবসা করবে না, ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা ব্যবসায়ের পরিবেশ তৈরি করছি। বাংলালিংক ও সামিট একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না গিয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীতাকেই বাস্তবায়িত করছে। জন-সম্পদ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করতে চাই। ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে আইসিটির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণে ২০৪১ সালের মধ্যে গড়ে ওঠবে উন্নত ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ। যেখানে সমন্বিতভাবে কাজ করবে সরকার বা প্রশাসন, প্রাইভেট সেক্টর এবং শিক্ষাব্যবস্থা।’’
তিনি আরও বলেন, “বাংলালিংক এবং সামিট যেভাবে একে অপরের সহযোগী হয়ে কাজ করছে, সেভাবে সকলের উচিত প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে সকলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করা। দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে এখন দ্রুতগতির ফাইবার অপটিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আছে। ২০৪১ সাল নাগাদ সকলের অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট সমাজ গড়ে তুলতে এবং সেই যাত্রায় সামিট আমাদের সঙ্গে থাকবে। টাওয়ার শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে স্মার্ট নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।’’