বিনিয়োগের নতুন পথ খুলতে চাই: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: আমাদের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী এবং সংস্কার করতে পাবলিক প্রাইভেট অথবা জি২জি পদ্ধতির বিনিয়োগ চাই। আমরা বিনিয়োগের নতুন পথ খুলতে চাই। আমরা ডিজিটাল রূপান্তরের মাস্টার প্ল্যান এবং আইসিটি রোডম্যাপের খসড়া সংস্করণ প্রস্তুত করেছি এবং অনুরূপ রোডম্যাপ প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য জাতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। আমরা ১০টি স্তম্ভকে লক্ষ্য ধরে এগুচ্ছি। ।
গতকাল রবিবার (২৩ মার্চ) ডাক ভবনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এর অফিস কক্ষে ইইউ’র রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার সাক্ষাৎ করতে এলে বিশেষ সহকারী এ কথা বলেন। এ সময় আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী সহ দপ্তর সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
ইইউ’র রাষ্ট্রদূত মিলার ব্রাসেলসে আসন্ন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার নীতিকাঠামো, ইইউর বিনিয়োগ, প্রকল্পে অর্থায়নসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলেন। ইইউ বাংলাদেশের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ডেটা এক্সচেঞ্জ এবং ডেটা গভর্নেন্স সম্পর্কে আমাদের খুব বড় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, আমরা ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টে গুরুত্ব দিচ্ছি। এর বাইরে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়েও কাজ চলছে। ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশল এর মাস্টার প্ল্যানের ক্ষেত্রেও স্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নেয়া হবে। আশা করছি এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে এটি একটি রূপ পাবে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে আরও কিছুদিন কাজ চলবে তারপর আমরা চারটি স্তরে জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করব।”
তিনি আরও বলেন, “আইসিটি এবং সাইবার সম্পদগুলোর মানোন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি আমরা শুধুমাত্র সরকারি সংস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারি কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। এর পাশাপাশি, আমরা ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার এর উপর ফোকাস করছি। আমরা কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে গুরুত্বারোপ করছি। এক্ষেত্রে ইইউ এবং ই গভর্নেন্স টিমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব প্রত্যাশা করছি। প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের জন্যও তিনি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আহবান জানান।”