বিডি ক্লিন’র উদ্যোগে গুলশানে ‘স্মার্ট ডাস্টবিন’ স্থাপন
ক.বি.ডেস্ক: স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন এর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ‘স্মার্ট ডাস্টবিন’ স্থাপন কার্যক্রম নেয়া হয়। আইওটি নির্ভর এই ‘স্মার্ট ডাস্টবিন’ আবর্জনা সংরক্ষণের বিনটি কেউ খুললে বা ভরে গেলেই এলার্ম দিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করবে। গুলশানে ১০০ ‘স্মার্ট ডাস্টবিন’ উপহার দিয়েছে বিডি ক্লিন এবং এগুলোর রক্ষাণাবেক্ষণ করবে গুলশান সোসাইটি।
আজ সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে বিডি ক্লিন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ‘স্মার্ট ডাস্টবিন’ সেবার উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, বিডি ক্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “ডাস্টবিনগুলো আমাদেরই যত্ন নিতে হবে। আমরা যেন যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলি। ডাস্টবিনগুলো এলাকাবাসীকে দেখতে হবে। জনগণকে দেখতে হবে। আমাদের এই শহরকে ভালোবাসতে হবে। খালে বা ড্রেনে ময়লা না ফেলে ডাস্টবিনগুলোতে ফেলব। অনেকে শুধু নিজের চিন্তা করে মাঠ, খাল, রাস্তা, বড়-বড় জমি দখল করছে। এমন চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে শুধু নিজেদের না, আমাদের সবাইকে নিয়ে কাজ করার জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনও চিন্তা করেননি আমার। তিনি চিন্তা করেছেন আমাদের। তাই আমরা আজকে বাংলাদেশ পেয়েছি, লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর একটি বাসাও ঢাকায় নেই। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, আমার বাসা লাগবে না। আমার বাসা আছে গোপালগঞ্জে। এমন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি এটা আমাদের ও দেশের ভাগ্য।”
বিডি ক্লিন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “আজ বিডি ক্লিনের আট বছরে ৫৭টি জেলায় ও ১৫৭টি উপজেলায় ৪৬ হাজার সদস্য আছে। আমার মনে হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য এর থেকে বড় অর্গানাইজেশন আর কারও নেই। করোনাকালে যখন বাবা-মা তাদের সন্তানকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছিলেন না, তখন বিডি ক্লিনের সদস্যরা আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। একটি টাকাও বিডি ক্লিন আমার কাছ থেকে নেয়নি। জীবনবাজি রেখে, টাকার কাছে মাথা নত না করে করোনাকালে চলে আসছে কাজ করার জন্য। সেই সময়টায় তারা খাবার প্যাকেট করেছে; বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। এভাবেই কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন বিডি ক্লিন।”