বিটিআরসি’র জন্য ক্রয় করা হচ্ছে ‘টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম’

ক.বি.ডেস্ক: দেশের মুঠোফোন অপারেটরদের থেকে রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) জন্য ৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় ‘‘টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম’’ ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৬ জুন) অর্থনৈতিক বিষয় এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
বিটিআরসি’র জন্য টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম কেনায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল রেগুলেটরি মনিটরিং ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান হওয়ার পর এ সিস্টেম কেনা হচ্ছে। এই সিস্টেম কেনা, উন্নয়ন, সরবরাহ, ইনস্টল, টেটিং ও কমিশনের জন্য ৭৭ কোটি ৬৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৬ টাকা ব্যয় হবে। কানাডার টিকেসি টেলিকম এ সিস্টেম সরবরাহ করবে বলে জানা যায়।
টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম: মুঠোফোন অপারেটরদের যে রাজস্বটা আদায় হচ্ছে, এক্ষেত্রে অনেক সময় সঠিক তথ্য নাও থাকতে পারে। এজন্য এ মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে শতভাগ রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে এবং সে অনুযায়ী সরকারকে অপারেটদের অবহিত করতে হবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়মিত ভিত্তিতে এবং কারিগরিভাবে সরকারের প্রাপ্য রাজস্বের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে। এর মাধ্যমে দেশের যে কোনো স্থানে ভয়েস এবং ইন্টারনেট সেবার মান তাতক্ষণিকভাবে যাচাই করা যাবে। এ ছাড়া মুঠোফোন অপারেটররা অনুমোদিত কলচার্জ প্রয়োগ করছে কি না, গ্রাহকের টাকা যথাযথভাবে কেটে রাখছে কি না, তা যাচাই করা যাবে। এটি কারিগরি অডিট এবং কমপ্ল্যায়েন্স যাচাইসহ সব গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় করবে।
মুঠোফোন অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, সরকার এ খাত থেকে বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব পেয়ে থাকে। ২০১৯ সালে মোবাইল বাজারের রাজস্ব ছিল দেশের জিডিপির ১ দশমিক ১ শতাংশ এবং খাতটির কর ও ফির পরিমাণ ছিল মোট সরকারি কর রাজস্বের প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে অপারেটর ও সরকারের মধ্যে নিরীক্ষা নিয়ে কয়েকবার টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল, যা গড়িয়েছিল আদালতেও। ভবিষ্যতে তা এড়াতেই এ সিস্টেম কেনা হচ্ছে।
সভায় আইসিটি অধিদপ্তরের ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাবের জন্য ১০১ কোটি ২৮ লাখ ৪ হাজার ৩৬ টাকায় মালামাল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়। এ প্রকল্পের জন্য ৫ হাজার ইন্সট্রাক্টর টেবিল, ৫ হাজার ইন্সট্রাক্টর চেয়ার, ৮০ হাজার কমপিউটার টেবিল এবং ১ লাখ ৬০ হাজার কমপিউটার চেয়ার সংগ্রহ, সরবরাহ ও স্থাপন করা হবে। হাতিল কমপ্লেক্স, আরএফএল প্লাস্টিকস্, আকতার ফার্নিচার এবং পারটেক্স ফার্নিচার কাজগুলো পেয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মোটরযানের কর ও ফি আদায়ের জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে ২১৮ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ৫ বছরের জন্য নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমপিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) এ কাজ পেয়েছে বলে জানা যায়।