বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ফের চালু হলো
ক.বি.ডেস্ক: বিচ্ছিন হয়ে যাওয়ার দুই মাস পর চালু হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (এসএমডব্লিউ-৫)। গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি সিঙ্গাপুর হতে পশ্চিম প্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিএসসিপিএলসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাবমেরিন ক্যাবলটির পুনঃসংযোগের তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় বিএসসিপিএলসির আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি (এসএমডব্লিউ-৫) সিঙ্গাপুর থেকে পশ্চিম প্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এসএমডব্লিউ৫ কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ২৮ জুন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ক্যাবলটির মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়। এরই মধ্যে বিএসসিপিএলসির এসএমডব্লিউ ৫-এর মাধ্যমে সংযোগকৃত সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে। দীর্ঘসময়ে দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকার কারণে গ্রাহকদের অসুবিধা হওয়ায় দুঃখপ্রকাশও করেছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।
কক্সবাজারে অবস্থিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল, কুয়াকাটায় অবস্থিত সাবমেরিন ক্যাবল এবং কয়েকটি আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘এসএমডব্লিউ-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে ভারত থেকে ব্যান্ডউইডথ আমদানি করা হয়।
২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কুয়াকাটার কলাপাড়ায় চালু হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। এই ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসএমডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাচ্ছে বাংলাদেশ।