বিএইচটিপিএ’র শুদ্ধাচার পুরস্কার
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) ২০২০-২১ অর্থ বছরে ‘‘জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার’’ পেলেন উপ-পরিচালক নরোত্তম পাল এবং কমপিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাম অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন। গতকাল সোমবার (২৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিএইচটিপিএ’র সভাকক্ষে আয়োজিত মাসিক সমন্বয় সভায় পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন বিএইচটিপিএ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল-এর ২.১.৩ অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর ক্রমিকে শুদ্ধাচার চর্চার জন্য নির্বাহী বিভাগের কর্মচারীদের প্রণোদনা ও পারিতোষিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। শুদ্ধাচার চর্চায় উতসাহ প্রদানের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার কর্ম-পরিকল্পনায় সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানের কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০১৭ প্রণয়ন করেছে। নীতিমালায় পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রেড-১ হতে গ্রেড-১০ ভুক্ত একজন এবং গ্রেড-১১ হতে গ্রেড-২০ ভুক্ত একজন কর্মচারী নির্বাচনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে যোগ্য কর্মচারী নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট মূল্যায়ন পদ্ধতি রয়েছে। সার্বিক মূল্যায়নে গ্রেড ১-১০ ভুক্ত উপ-পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স) নরোত্তম পাল সর্বোচ্চ ৯৭ নম্বর এবং গ্রেড ১১-২০ ভুক্ত আনোয়ার হোসেন সর্বোচ্চ ৯২ নম্বর পেয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন।
ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বিএইচটিপিএ একটি নবীন সংস্থা। ২০১০ সালে আজকের এই দিনে প্রতিষ্ঠানটি যাত্র করে। এ সংস্থার সকল পর্যায়ের কর্মচারী স্ব স্ব দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুসারে অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করে আসছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রবর্তিত শুদ্ধাচার চর্চার জন্য পুরস্কার প্রদানের ফলে বিএইচটিপিএর সকল পর্যায়ের কর্মচারী শুদ্ধাচার চর্চাসহ আরও নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন বলে মনে করি।