বাংলা প্রকাশনার পুরোটা ব্রেইল পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়া দরকার: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সাদা ছড়িতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রয়োগ করে তাদের চলাচলকে সহজতর করা হয়েছে। বাংলা প্রকাশনার পুরোটা ব্রেইল পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়া দরকার।
মন্ত্রী গতকাল শনিবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় সুইড অডিরিয়ামে বেসরকারি সংস্থা অবাক বাংলাদেশের উদ্যোগে অনলাইনে দেশব্যাপি প্রতিবন্ধী সংগীত শিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অবাক বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইমপেক্টফা উন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, প্রতিবন্ধী ও মানবাধিকার বিষয়ক উন্নয়ন কর্মী মনসুর আহমেদ চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুল আলম, সুইড বাংলাদেশের মহাসচিব মাহবুবুল মনির প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুরা পরিবার ও সমাজের বোঝা নয়। তারা সমাজে সক্ষমদের তুলনায় অনেক বেশি মেধাবি। তাদের পাশে থেকে অনুপ্রেরণা ও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রচুর ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। আমরা এখন ডিজিটাল যুগে বাস করছি। এই সময়ে প্রতিবন্ধিত্ব জয় করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। ভবিষ্যতে আরও প্রযুক্তি আসবে। শুধু তাই নয়, বিশ্বটা ডিজিটাল সংযুক্তিতে বিকশিত হবার ফলে প্রতিবন্ধীরাও ডিজিটাল দক্ষতা নিয়ে তাদের পেশা তৈরি করতে পারে, শারিরীক অক্ষমতা এজন্য বাধা হতে পারেনা।
প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি এবং অটিস্টিক শিশুদের জন্য তার কণ্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, অটিস্টিক শিশুরা স্কুল-কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করে সফলতা পেয়েছেন।