সাম্প্রতিক সংবাদ

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বুয়েটের মধ্যে চুক্তি

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ (১ম সংশোধন) প্রকল্পের আওতায় বুয়েট ক্যাম্পাসে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (আইএফটি) প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বুয়েটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। ‘স্কিল গ্যাপ’ গোছাতে আইএফটি প্রতিষ্ঠায় এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এই ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (আইএফটি)-তে মেশিন লার্নিং, এআই, আইওটি, মাইক্রো- ফেব্রিকেশন, ব্লকচেইন, প্রযুক্তিগত ইথিক্স, জৈব প্রযুক্তি, ন্যানোপ্রযুক্তি, নিউরো টেকনোলজি, ডেটা সায়েন্স, সাইবার সিকিউরিটি, হাইপার-অটোমেশন, বিহেভিয়ার, ইন্টেলিজেন্স ও এক্সপেরিয়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, অন্টারপ্রেনিউরশিপ, ইনোভেশন স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম সাস্টেইনেবিলিটি ইত্যাদি পাঠদান করা হবে।

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মনসুর আলম।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমির মধ্যে ব্যাপক দূরত্ব রয়েছে এবং এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে রিসার্চ গ্যাপ যা আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে। এ সমস্যার সমাধানের উপায় হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। চর এলাকা থেকে আইএফটি বুয়েটে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেননা চর এলাকায় অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির জন্য দরকারি ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষক সহ প্রয়োজনীয় রিসোর্স মবিলাইজেশন প্রায় অসম্ভব। এই আইএফটি স্থাপনে আমাদের নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ এবং ডিজাইন বা আর্কিটেকচারে কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার দূরত্ব ঘোচাতে এমন একটা মডালিডি বের করবো যেখানে বিদেশ ফেরত ফ্যালো শিক্ষকরা কোর্স নিতে পারবেন । ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনীয়তা ও দক্ষতা অনুসারে আমরা স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী কোর্স কারিকুলাম ডিজাইন করব। যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রচলিত নিয়মের অধীনে করা সম্ভব নয়। আশা করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্কিল গ্যাপ পূরণ হবে।”

প্রফেসর ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, “এই উদ্যোগটি সময়োপযোগী এবং যৌক্তিক, এটি বুয়েটের জন্য একটি বড় সুযোগ।” 

প্রফেসর ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী বলেন, “ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি সমূহ নিজেই পরিবর্তনশীল, আজকে যা ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বলে সংজ্ঞায়িত ৫ বছর পরে তা থাকবে না। তাই এ ধরণের স্কিল সেটের জন্য বাজারবান্ধব ডায়নামিক এবং ফ্লেজিবল প্রতিষ্ঠান দরকার। 

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *