বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ শীর্ষক কর্মশালা
ক.বি.ডেস্ক: ব্রডব্যান্ড আইসিটি অবকাঠামো, সেবা ও সংযুক্তি বিষয়ক ‘‘বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২’’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখেন এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেট-এর এশীয় প্রশান্ত মহাসাগীয় প্রধান আনজু মঙ্গল, এটুআই’র পলিসি এডভাইজার আনির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লতিফা জামাল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সকল অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের উপযোগী একটি ব্রডব্যান্ড নীতিমালা করা সময়ের দাবি। ৫জি প্রযুক্তির আলোকে ব্রডব্যান্ড এমবিপিএস নয় তা জিবিপিএস-এ রূপান্তর করা অপরিহার্য। ২০৪১ সালকে সামনে রেখে ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্ভাব্য পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নীতিমালার প্রণয়নের মাধ্যমে জনগণের চাহিদা উপযোগী ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। ১৯৯৬ সালে অনলাইন ইন্টারনেট ও ২০১৩ সালে দেশে থ্রিজি প্রযুক্তি চালু হওয়ার পর মোবাইল ইন্টারনেট যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার ১৮ বছরের শাসনামলে দেশে তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। ৫জির মাধ্যমে আমরা যে ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণ করছি তা হবে ৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের সীমা নির্ধারিত থাকা উচিত নয়। নিয়ম নীতির আলোকে জনগণের সন্তুষ্টির ওপর খেয়াল রেখে প্যাকেজ নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। যে কোন নীতিমালা প্রণয়ন অত্যন্ত কঠিন কাজ এবং ব্রডব্যান্ড পলিসিকে আগামী ২০ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে করতে হবে। কর্মপরিকল্পনা যথার্থ না হলে কোন নীতিমালাই স্বয়ং সম্পূর্ণতা পায় না।