বাংলাদেশে ‘ফাইভ-জি রেডি টাওয়ার অপারেশন সেন্টার’ চালু
ক.বি.ডেস্ক: দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা ইডটকো বাংলাদেশ ‘ফাইভ-জি রেডি টাওয়ার অপারেশন সেন্টার’ (টিওসি) চালু করেছে। অত্যাধুনিক এই সেন্টারটি একটি রিয়েল-টাইম মনিটরিং হাব হিসেবে কাজ করবে, যা দেশের টেলিকম টাওয়ারগুলোর কার্যক্রম আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা, নেটওয়ার্ক সংযোগ নিশ্চিতকরণ এবং জ্বালানি ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে।
মালয়েশিয়া-ভিত্তিক ইডটকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ, তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যম্বু টাওয়ার ও হাইব্রিড সোলার-উইন্ড সলিউশন্সের মতো টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম টেলিকম টাওয়ার কোম্পানি হিসেবে ইডটকো টেকসই অবকাঠামো এবং সংযোগ সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে, যা দেশের প্রযুক্তিগত লক্ষ্যের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
সম্প্রতি ইডটকো বাংলাদেশ এর টিওসি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অব.), বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান এবং ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক।
মে. জে. মো. এমদাদ উল বারী (অব.) বলেন, “আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল যুগে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলো নেটওয়ার্ক সংযোগ। সংযোগের সম্প্রসারণ চালিয়ে যাওয়া যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আধুনিক ও প্রযুক্তি-চালিত কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলাও জরুরি। এটি বাংলাদেশের টেকসই ও শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো তৈরির বৃহত্তর লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।”
মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান বলেন, “গত দশ বছরে, ইডটকো উদ্ভাবনের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। একটি তরুণ, প্রযুক্তিপ্রেমী জনগোষ্ঠী এবং ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি আঞ্চলিক ডিজিটাল হাব হয়ে ওঠার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। মালয়েশিয়া ও ইডটকোর বহুপক্ষীয় সহযোগিতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্জিত সাফল্য বাংলাদেশের জন্য একটি পথনির্দেশিকা হিসেবে কাজ করতে পারে।”
সুনীল আইজ্যাক বলেন, “এই তথ্যনির্ভর ডিজিটাল সুবিধাটি টাওয়ার পরিচালনাকে আরও কার্যকর করে, নেটওয়ার্কের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যকে সহায়তা করে। আমরা শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”