বাংলাদেশে ‘গ্লোবাল এনক্রিপশন দিবস ২০২৪’ উদযাপন
ক.বি.ডেস্ক: বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে এনক্রিপশনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে বাংলাদেশে ‘গ্লোবাল এনক্রিপশন দিবস ২০২৪’ উদযাপন করা হয়। সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস ২০২৪ এর অংশ হিসেবে অনলাইনে মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এনক্রিপশন শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নয়; এর বিশাল অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার আক্রমণ এবং তথ্য লঙ্ঘনের কারণে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সাইবার অপরাধের কারণে মার্কিন অর্থনীতিতে বছরে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়। এই ক্ষতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ডেটা সুরক্ষায় এনক্রিপশনের অনুপস্থিতি বা দুর্বলতার কারণে হয়ে থাকে।
গত সোমবার (২১ অক্টোবর) ইন্টারনেট সোসাইটি (আইস্যক) বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এবং ওয়ালটন গ্রুপের আইসিটি বিভাগের ইনফরমেশন অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করে অনলাইনে ‘গ্লোবাল এনক্রিপশন দিবস ২০২৪’ নিয়ে মুক্ত আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আইস্যক বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি ড. মোহাম্মদ নাদির বিন আলী। বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাজ্জাদ হোসেন, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) এর সভাপতি ও আইস্যক বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক আরিফুল আম্বিয়া। সঞ্চালনা করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
আলোচনা সভায় ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক এবং জাতীয় স্তরে এনক্রিপশনের গুরুত্ব সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হয়। এনক্রিপশন বিষয়ে সচেতনতা, কীভাবে যোগাযোগকে নিরাপদ রাখে এবং সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষিত করে তা তুলে ধরেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, এনক্রিপশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত হয়। এটি নিশ্চিত করে যে তথ্যটি যাত্রাপথে বা ডিভাইসে সংরক্ষিত অবস্থায় এটি অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে সুরক্ষিত থাকে। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন কিভাবে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা প্রদান করে তা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, যা ডেটা স্থানান্তরের সময় অননুমোদিত অ্যাক্সেস প্রতিরোধ করে।
বাংলাদেশে এনক্রিপশনের ব্যবহার নিয়ে যদিও সচেতনতা বাড়ছে, তবুও সরকারী ও বেসরকারী উভয়ক্ষেত্রেই আরও শক্তিশালী এনক্রিপশন প্রয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধির সঙ্গে এবং ক্লাউড-ভিত্তিক সিস্টেমগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার কারণে, এনক্রিপশন চর্চাগুলো ডিজিটাল যুগের চাহিদা মেটাতে আরও উন্নত হওয়া অপরিহার্য।