বাংলাদেশে অনলাইন শিক্ষায় রোল মডেল ‘ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়’
আমাদের এ যুগে করোনা অতিমারী (কোভিড-১৯) একটি সুনির্দিষ্ট বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যার সর্বোত্কৃষ্ট উদাহরণ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অদ্যাবধি আমরা যে সর্ববৃহত্ চ্যালেঞ্জটির মুখোমুখি হয়েছি তা এ করোনা অতিমারী। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত এনেছে। সারা দেশে লক ডাউন চলছে। অন্য যে কোনো ভাইরাসের চরিত্র, এর গতিপ্রকৃতি বিজ্ঞানীরা নির্ণয় করতে পারলেও কিন্তু প্রতিনিয়ত রূপ পরিবর্তনের ফলে করোনাকে মোটেও নাগালে আনতে পারেননি। হতবাক করে দিয়ে তা বিস্তৃত হয়ে গোটা মানবজাতিকে নাকাল বানিয়ে দিয়েছে। সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে।
করোনাকালে বাংলাদেশের যে সেক্টরটি সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ তা হল সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমুহ দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে আছে। গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়াও সম্ভব হয়নি, অটো পাস দেয়া হয়েছে। এবারও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনিশ্চিত। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের বিকল্প উপায় খুজঁছে সবাই। অনলাইন কার্যক্রমের গতির ব্যবহার আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ এ ভয়াবহ পরিস্থিতিকে কাটিয়ে উঠতে প্রণান্তকর চেষ্টা করছে। তবে এতসব বাধাবিপত্তি এবং প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক শিক্ষা কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা কোন উন্নত দেশের নয় বরং উন্নয়নশীল আমাদের এই ডিজিটাল বাংলাদেশেরই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। তাই নিয়ে লিখেছেন মো. আনোয়ার হাবিব কাজল…
সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ডিআইইউকে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশী সফলতা এনে দিয়েছে তা হল সম্পূর্ণ অটোমেশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিজিটাইজেশনের লক্ষ্যে যে শক্তিশালী টুলসগুলি ব্যবহার করছে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ‘‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস)’’, ‘‘ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেম (বিএলসি)’’ এবং ‘‘গো এডু প্ল্যাটফর্ম’’। ডিআইইউ বিএলসি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে `স্মার্ট এডু প্ল্যাটফর্ম’ সম্পৃক্ত করেছে যার মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রমও পরিচালনা ও মনিটরিং করা হচ্ছে। ডিআইইউর এই বিএলসি ডিজিটাল টিচিং এবং লার্নিংয়ের হাব হিসেবে কাজ করছে।
অনলাইন শিক্ষার একমাত্র উপকরণই কমপিউটার আর সেই সঙ্গে তার চালিকা শক্তি ইন্টারনেট সংযোগ এবং বিএলসি, এলএমএস ও গো-এডু প্ল্যাটফর্ম। এ দুই এর সুবন্দোবস্ত থাকলে দূরত্ব কোন বাধা নয়। যেকোন স্থানে বসেই লেখাপড়া চালিয়ে নেয়া সম্ভব। বিশেষ করে করোনা অতিমারীকালে (কোভিড-১৯) এর গুরুত্ব প্রতিটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবক হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে, সবাই এ বিষয়টি আজ গভীরভাবে উপলদ্বি করতে পেরেছে।
অথচ আজ থেকে এক যুগ আগেই ২০০৮ সালে দেশবরেণ্য তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, স্বপ্নবাজ ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের রূপকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান তার দূরদর্শিতা দিয়ে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাই তথ্যপ্রযুক্তিকে শিক্ষার্থীর এবং শিক্ষার গুনগত মানউন্নয়নের কাজে লাগানো, লেখাপড়ার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সঙ্গে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতামুলক চাকরির বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই ‘ওয়ান স্টুডেন্ট-ওয়ান ল্যাপটপ’ কর্মসুচীর আওয়তায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে ল্যাপটপ প্রদান শুরু করেন সেই ২০১০ সাল থেকে। এ কর্মসুচীর আওয়তায় এ পর্যন্ত্ প্রায় ৪০,০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনা মূল্যের ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় তখন থেকেই ডিআইইউ সকল শিক্ষাকার্যক্রম বিএলসি প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনা হয়। পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় লক ডাউনের শুরু থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইন শিক্ষায় পারদর্শীতার প্রমাণ রেখে চলেছে এবং শিক্ষার্থীরাও প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনাও শিক্ষকদের জন্য শতভাগ সহজতর হয়েছে।
বিএলসি প্ল্যাটফর্ম:
এর লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কার্যকরভাবে সংযুক্ত রেখে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অগ্রগতি ট্র্যাক করা ও স্বতন্ত্র মূল্যায়ন নিরীক্ষণ এবং তাদের শেখাকে সহজতর করতে অধিকতর সহযোগিতা প্রদান করা। বিএলসি একটি সুগঠিত ও শক্তিশালী ই-লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং কোর্স তৈরী, গঠন, যোগাযোগ ও পরিচালনা করার ওয়ান স্টপ সমাধান। অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী প্লাগ ইনস্ এবং ইন্টিগ্রেশনের সমন্বয়ে গঠিত এই বিএলসি প্ল্যাটফর্ম শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার ও পরিচালনা করা খুব সহজ। প্ল্যাটফর্মটিতে একটি ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ কোর্স বিল্ডার রয়েছে যা শিক্ষকদের সহজেই কোর্স প্রকাশ করতে সহায়তা করে। কোর্স উপকরণ, নতুন পাঠ্য ভিডিও, অডিও, পাওয়ারপয়েন্ট, ড্রাইভ রিসোর্স, ডেস্কটপ থেকে যেকোনও ফাইল এমনকি ইন্টারেক্টিভ সামগ্রী অন্তরভূক্ত করা বা তৈরী করা সুবিধাজনক। প্ল্যাটফর্মটিতে শতাধিক প্লাগ ইন এবং ইন্টিগ্রেশনসহ ২৫টিরও বেশী ইনবিল্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের একাধিক এবং নমনীয় উপায়ে যুক্ত করার সম্ভাবনাগুলি প্রসারিত করে।
কুইজ, অ্যাসাইনমেন্ট, ফোরাম এবং অনলাইন ওয়ার্কশপগুলি শিক্ষার্থীদের কৌতূহলকে উত্সাহিত করে এবং আরও কোর্সে অংশ নিতে বাধ্য করে। এটি একটি সর্বাধিক উন্নত কুইজ স্রষ্টা যা শিক্ষকদের নির্ধারিত সময় সীমার সঙ্গে কুইজ সেট করার এবং শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা ট্র্যাক করার দক্ষতাসহ যে কোনও ধরণের প্রশ্ন সেট করার সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা কুইজ বা পরীক্ষার মান এবং সততা বজায় রাখতে পারেন এবং প্ল্যাটফর্মটি টারনিটিন চৌর্যবৃত্তির চেকারের সঙ্গে সমন্বিত করা আছে যাতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উপস্থাপিত আবেদনের মৌলিকত্ব যাচাই প্রতিবেদন সহজেই পেতে পারে।
এমন আরও অনেকগুলি অপশনের সাহায্যে ব্লুম টেক্সোনমি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার জন্য শিক্ষকরা প্রশ্ন তৈরি করতে সক্ষম হন যাতে তারা শিক্ষার্থীদের বর্তমান অবস্থান সহজেই সনাক্ত করতে পারে এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও গাইডলাইন সরবরাহ করতে পারে। সমস্ত মূল্যায়নের ফলাফলগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি উন্নতমানের স্বনির্ধারিত গ্রেড বইতে সঞ্চিত হয় যা শিক্ষকদের প্রতিটি কোর্স শিড়্গার্থীরা কীভাবে সম্পাদন করছে তার একটি সংক্ষিপ্ত ধারনা দেয়। শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে যে কোনও সময তাদের রেকর্ডগুলি দেখতে পারে যাতে তারা পরবর্তী মূল্যায়নের জন্য পরিকল্পনা করতে এবং আরও ভালভাবে প্রস্তুত করতে পারে। এক কথায় প্ল্যাটফর্মটি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্য স্বচ্ছতা এবং মিথস্ক্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগও এই রেকর্ডগুলি ট্র্যাক এবং পরীক্ষা করতে পারে যা তাদের পরীক্ষার মান, স্বচ্ছতা এবং সততা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
বিএলসি প্ল্যাটফর্মে একক কোর্সের জন্য একাধিক প্রশিক্ষককেও অন্ত্মর্ভূক্ত করার সুযোগ রয়েছে। এটা কোর্স কনটেন্ট প্রস্তুতির জন্য শিক্ষকদেরকে একে অপরের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা করতে এবং কোর্স কনটেন্টের মানের উন্নতি করতে সহায়তা করে। স্ব-স্ব বিভাগগুলিও এ প্ল্যাটফর্মে কোর্স রিপোজিটরিগুলি পৃথকভাবে রাখতে পারে যাতে নতুন সেমিস্টারের কোর্স অফার দেওয়ার আগে শিক্ষকগণ সময় সময় তাদের কোর্সগুলো আপডেট করতে পারে। বিভাগগুলিও এই রিপোজিটরিগুলি পরীক্ষা করতে পারে এবং শিক্ষকদের উন্নতির স্কোপগুলিতে নির্দেশিকা সরবরাহ করতে পারে।
অধিকন্তু, বিএলসি প্ল্যাটফর্মের তিনটি পৃথক ড্যাশবোর্ডসহ নিজস্ব বিশ্লেষন সরঞ্জাম রয়েছে: শিক্ষক ড্যাশবোর্ড, শিক্ষার্থী ড্যাশবোর্ড এবং অ্যাডমিন ড্যাশবোর্ড। এর সাহায্যে শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স এবং তাদের কোর্সগুলি একটি একক ড্যাশবোর্ড থেকে যাচাই করতে পারেন এবং কয়েকটি ক্লিকে তাদের কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেতে পারেন। একইভাবে, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কোর্স থেকে তাদের বর্তমান পারফরম্যান্স সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি বা ধারনা পেতে পারে যাতে তারা ভবিষ্যতের জন্য ভালভাবে প্রস্তুত হতে পারে এবং সংগঠিত হতে পারে বা তাদের শিক্ষকদের সাহায্য নিতে পারে। অ্যাডমিন ড্যাশবোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি পেতে এবং প্ল্যাটফর্মের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা এবং ক্রিয়াকলাপের প্রতিবেদন দেয় যাতে তাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর সাফল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। রিপোর্টগুলি সক্রিয় শিক্ষক, কোর্স সমাপ্তি, শিক্ষক সম্পৃক্ততা, অস্বাভাবিক গ্রেড, উদ্ভাবনী শিক্ষক, সক্রিয় শিক্ষার্থী, ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষার্থী ইত্যাদির মতো দরকারী ভাগে বিভক্ত। এই প্রতিবেদনগুলি অনুষদ, বিভাগ এবং সেমিস্টার অনুসারে বাছাই করা যায়। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে একটি সুনির্দিস্ট সময়ের রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব।
বিএলসির মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ইউটিউব, গুগল, ড্রাইভ, এডপজল, এইচ ৫ পি ইন্টারেক্টিভ সামগ্রীর মতো একাধিক উত্স থেকে ভিডিওসহ ক্লাসগুলি সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণীয় এবং ইন্টার্ক্টিভ করা যায়। শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স তৈরি করতে, শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরণের মাল্টিমিডিয়া ফাইল, চিত্র, পিডিএফ, ডক্স, এক্সেল শীট এবং অন্যান্য কনটেস্ট সহজেই আপলোড করতে পারেন। শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দে সমস্যা আলোচনার ফোরাম বিভাগগুলির সঙ্গে অনায়াসে যোগাযোগ করতে পারে, যেখানে তারা শিক্ষকদের কাছে মন্তব্য করতে এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে, শিক্ষার্থীরা তাদের কোর্সগুলিতে পর্যালোচনা, রেট ও প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারে। শিক্ষকরা বিএলসি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থেকেই শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমিক প্রতিক্রিয়া এবং সমীক্ষাও নিতে পারে।
বিএলসি প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শে ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হচ্ছে যা শিক্ষার্থীদের প্রান্তিক অবস্থান বা ইন্টারনেট সংযোগ নির্বিশেষে তাদের শিখতে সক্ষম করে এবং শিক্ষাকে ইন্টারেক্টিভ এবং প্রাণবন্ত করে তোলে। সাম্প্রতিক সেমিস্টারে ডিআইইউ শিক্ষকরা বিএলসি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মোট ১৬৪৭ টি কোর্স চালু করেছেন যেখানে ১৬০০০ এর বেশি সক্রিয় শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ওয়বিনার পরিচালনার প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্বসেরা অধ্যাপকদের ক্লাস করার সুযোগ পায়।
ডিআইইউর এলএমএস’, বিএলসি ও গো-এডু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থাগুলিকে এই সংকটেও কিভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হয় তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এবং অনুপ্রাণিত করেছে। অতিমারীর এই সময়ে ডিআইইউ প্রকৃতপক্ষে দেশের শিক্ষাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ডিআইইউ এখন অনলাইনে বিশ্বখ্যাত অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে বিশেষ করে উদেমি, কোর্সএরা ইত্যাদিতে অবদানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে। বিনা মূল্যের একটি ল্যাপটপই করোনা অতিমারিকালেও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। তাই ডিআইইউ হতে পারে অনলাইন শিক্ষা অনগ্রসরমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য অনুকরণীয় আদর।
লেখক: মো. আনোয়ার হাবিব কাজল, ঊর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক (জনসংযোগ), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি