বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা অ্যাওয়ার্ড-২০২৩

ক.বি.ডেস্ক: ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩” চালু করেছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেয়া এবং সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতার উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির উদ্যোগে এবং ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩” প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আৰু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পেয়েছে ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে প্লেন্টি প্রজেক্ট নিয়ে স্মার্ট স্টুডেন্ট হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে সেন্ট জোসেভ স্কুলের শিক্ষার্থী তামজিদ রহমান। এন্টরপ্রেনিউর্স ক্যাটাগরিতে ভারতের এন্ড নাও ফাউন্ডেশন। স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে বাইট ক্যাপসুল। সরকারি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়র্ক এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে পথচলা ফাউন্ডেশন। প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাইবার স্পেসে কোনো সীমান্ত বা সীমানা নেই। কোন ব্যক্তি, সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া কেউ তাদের সাইবার স্পেস সুরক্ষিত করতে পারে না। তাই এ লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতি সহযোগিতার প্রয়োজন। সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে সচেতনতা, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল ও নীতি অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আন্তঃ সীমানা সহযোগিতায় এ ৪টি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তাই আন্তর্জাতিক আন্তঃ সীমানা সহযোগিতায় একক প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে। এখন থেকে প্রতিবছরই এ পদক দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।