উদ্যোগ সাম্প্রতিক সংবাদ

ফ্রিল্যান্সিং পেলো সরকারি স্বীকৃতি!

আমাদের দেশে কমবেশি সকলে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি জানলেও ফ্রিল্যান্সাররা এতদিন তাদের পরিচয় নিয়ে সমস্যায় ছিলেন। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত পরিচিত কার্ড বা ফ্রিল্যান্সিং আইডি’র মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। ‘ফ্রিল্যান্সিং আইডি’ কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে কর্মসংস্থান, উপার্জন বা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে।যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাংকিং বা ভিসার আবেদন, বাসা বা অফিস ভাড়া এমনকি বাচ্চাদের স্কুল ভর্তি করার মতো বিষয়গুলো সহজ করে দিবে। www.freelancer.com.bd এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে দেশের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার আইটি কর্মরত, এখানে রেজিস্ট্রেশন করে পরিচয়পত্র গ্রহণের সুযোগ পাবে।

গতকাল বুধবার (২৫ নভেম্বর) ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং আইডির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড প্রদানের জন্য একটা ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে, যা থেকে সকল ফ্রিল্যান্সার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। এতে ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতি তৈরির পাশাপাশি  ব্যাংক ঋণ পেতে পারবে এবং তাদের ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করতে পারবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চিন্তা থেকেই তাঁর সরকার দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। এখন থেকেই উদ্যোগী না হলে দেশ পিছিয়ে যাবে। সুতরাং আমরা পিছিয়ে যেতে চাইনা। এজন্য প্রশিক্ষণটা সঙ্গে সঙ্গে দরকার। কারণ আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। বিশ্ব প্রযুক্তিগতভাবে যতটুকু এগোবে আমরা তারসঙ্গে তাল মিলিয়েই আমরা চলবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক মেধাবী। অল্পতেই তাঁরা শিখতে পারে। সরকার হিসেবেই আমাদের কাজ হচ্ছে সেই সুযোগটা সৃষ্টি করে দেওয়া। সেটাই আমরা করে দিচ্ছি। সারাদেশে ৩৯টি হাইটেক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এগুলোর নির্মাণ শেষ হলে প্রায় ৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। যার মধ্যে যুব সমাজই সবথেকে বেশি কাজ পাবে। দেশ এবং বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসবে এবং দক্ষ কর্মীবাহিনীর সৃষ্টি হবে। তাঁর সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনসহ দক্ষ কর্মীবাহিনী সৃষ্টিতে নানারকম প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *