ফাইভ-জি নিয়ে নতুন জটিলতা, কী হবে গ্রাহকের
আমিনুল হাকিম: বর্তমান ইন্টারনেটের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি অর্থাৎ পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তিতে মনিটাইজেশন সমস্যা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে জিএসএমএ ইনটেলিজেন্স’র প্রধান পিটার জারিচ। তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটররা তাদের নেটওয়ার্ক মনিটাইজ করতে পারছেন না। যদিও এর পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। তবে তিনি আশা করছেন আসন্ন ফাইভজি-অ্যাভান্সড প্রযুক্তি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
সম্প্রতি ইটিটেলিকমের ফাইভ-জি বনাম সিক্স-জি কংগ্রেস-২০২৪ -এর সপ্তম সংস্করণে পিটার জারিচ বলেন, ফাইভজি’র প্রতিশ্রুতি ছিল এখান থেকে নতুনভাবে লাভবান হওয়া যাবে এবং আমরা মনিটাইজ করতে পারি এমন নতুন ক্ষমতা তৈরি হবে। তবে বিনিয়োগের সঙ্গে লাভের অনুপাত থ্রি-জি’র তুলনায় ফোর-জি এবং ফোর-জি’র তুলনায় ফাইভ-জি’র ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। লন্ডনভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানায়, নেটওয়ার্ক বিনিয়োগে মনিটাইজিংয়ের ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই ফাইভ-জি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি।
পিটার জারিচ বলেন, “ফাইভ-জি’র মাধ্যমে অ্যাডভান্সড আপলিংক, সিকিউরিটি এবং আরও নতুন কিছু সম্ভাবনা তৈরি হওয়া কথা। এর সর্বোচ্চ ব্যবহার হওয়ার পেছনে যে কারণ থাকবে তার মধ্যে রয়েছে ফাইভ-জি মাল্টিকাস্ট, কম খরচে আইওটি এবং নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক ইনটিগ্রেশন। এদিকে টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান টেলকোস ফাইভ-জি’র বিনিয়োগে হতাশ হয়ে এখন ফাইভ-জি-অ্যাডভান্সড চালু করতে খুব একটা হাড়াহুড়ো করছে না।”
থ্রি-জিপিপি’র অংশ হিসেবে ফাইভ-জি-অ্যাডভান্সড চালু হয়েছে এ বছর। আশা করা যাচ্ছে এটি পঞ্চম প্রজন্মের জন্য একটি মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে। এটি ফাইভ-জিকে আরও শক্তিশালী করবে। শক্তিশালী করার ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে- স্পিড, কাভারেজ, মোবিলিটি এবং পাওয়ার ইফিশিয়েন্সি। এটি ষষ্ঠ-প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কের মাঝে একটি সেতুবন্ধনের কাজও করবে বলে মন্তব্য করে ভারতভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইটিটেলিকম।
জিএসএমএ ইনটেলিজেন্স’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফাইভ-জি কানেকশনের সংখ্যা ১.৬ বিলিয়ন যেটা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫.৫ বিলিয়নে উন্নীত হবে। ১০১টি দেশের ২৬১টি টেলিকম প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু করেছে এবং আগামী বছর ৬৪টি মার্কেট থেকে ৯০টি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি চালু করার কথা জানিয়েছে।
লেখক: আমিনুল হাকিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা- আম্বার আইটি লিমিটেড