সফটওয়্যার

প্রযুক্তিগত ব্যবসা সম্প্রসারণে ‘বেসিস আমেরিকা ডেস্ক স্টেকহোল্ডারস মিট’

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রযুক্তিগত ব্যবসা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজন করে ‘বেসিস আমেরিকা ডেস্ক স্টেকহোল্ডার মিট’। অনুষ্ঠানে উভয় দেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসা ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেসিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক্টিং ইকোনমিক ইউনিট চিফ জেমস গার্ডিনার, মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জন ফে, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম, বিপ্লব ঘোষ রাহুল, বেসিস আমেরিকা ডেস্কের চেয়ারম্যান নূর মাহমুদ খান। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বেসিস সহ-সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।

জেমস গার্ডিনার বলেন, “সাইবার নিরাপত্তা অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা, সঠিক নীতিমালা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারী অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসাবে নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান জানান, বিশেষ করে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নৈতিক ব্যবসায়িক চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার উপর জোর দিতে হবে।”

জন ফে বলেন, “দূতাবাস বিভিন্ন উপায়ে সংযোগ সহজতর করার জন্য সহযোগিতা করবে, যার মধ্যে রয়েছে আইটি/আইটিইএস শিল্প প্রতিনিধিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, বি২বি ম্যাচমেকিং সহায়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন বাণিজ্য প্রদর্শনীগুলোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে সমর্থন করা। বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণের প্রতি দূতাবাসের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।”

রাসেল টি আহমেদ বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আইটি খাতের সবচেয়ে বড় বাজার এবং ভবিষ্যতে এই বাজার আরও বড় হবে। এখানে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আনার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এবং যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আরও বেশি সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। আমাদের আরও বেশি বি২বি ম্যাচমেকিং সেশন আয়োজন করা উচিত, কারণ আইটি খাত বাংলাদেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণের অন্যতম প্রধান অংশ। বাংলাদেশের আইটি খাতে দক্ষতার ঘাটতি চিহ্নিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সমীক্ষা প্রয়োজন এবং এই ঘাটতি পূরণের জন্য মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রণয়ন করার আহ্বান জানান।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *