প্রধানমন্ত্রী নারী প্রকৌশলীদের ক্ষমতায়নের রোল মডেল
ক.বি.ডেস্ক: বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী প্রকৌশলীদের ক্ষমতায়নের রোল মডেল। সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী এমনকি প্রধান প্রকৌশলী নারী আছেন। বিশ্বের দরবারে তিনি নতুন নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতেই দেশের নারী প্রকৌশলীরা কাজ করছে। নারী প্রকৌশলীরা আগামীতে যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের পাশেই থাকবে।
গতকাল শনিবার (৬ জুলাই) আন্তর্জাতিক নারী প্রকৌশলী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আইইবি’র নারী প্রকৌশলী চ্যাপ্টারের উদ্যোগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী প্রকৌশলীদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এইসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য, আইইবি’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু। বক্তব্য রাখেন আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইঞ্জিনিয়ার ড. মাহমুদা নাজনীন। সভাপতিত্ব করেন আইইবি’র নারী প্রকৌশলী চ্যাপ্টারের প্রকৌশলী নাঈমা নাজনীন নাজের।
সেমিনারে ইঞ্জিনিয়ার শাহনাজ ফেরদৌসী বিথীর উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার সুপ্তা চাকমা, ইঞ্জিনিয়ার হক সুলতানা, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাত শবনম, ইঞ্জিনিয়ার ড. সেলিয়া নাজনীন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন সহ আইইবি’র মহিলা চ্যাপ্টারের নেতৃত্ববৃন্দ।
ইঞ্জি. মো. আবদুস সবুর বলেন, “নারীর সক্ষমতা অর্জন করতে নারীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। সমাজ শুধু সহযোগিতা করতে পারে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীর ক্ষমতায়নের কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠিত হবে। যা বিশ্বে উদাহরণ হবে। নারী শিক্ষা ও নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।”
ইঞ্জি. এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায়নে বিশ্বে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। নারী প্রকৌশলীরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে। আইইবি’র ৭৬ বছরের অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে নারী প্রকৌশলীদের পাশে থাকবে।”
ইঞ্জি. ড. মাহমুদা নাজনীন বলেন, “বিদ্যুৎ খাতে ৫০০৬ জন প্রকৌশলীর মধ্যে ৩৮৪ জন নারী প্রকৌশলী কাজ করছে, যা অতি নগন্য। সড়ক ও জনপদ বিভাগে গড়ে ১২% নারী প্রকৌশলী কাজ করছে৷ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কারিগরী শিক্ষায়ও নারীদের আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে। আইইবি’র মতোই দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নারী প্রকৌশলী বান্ধব কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। হাইওয়ে মাস্টার প্ল্যান ২০৪১ প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারী প্রকৌশলীরা।”