প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে স্মার্ট টেকনোলজিস’র বক্তব্য
ক.বি.ডেস্ক: গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশের একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এবং অনলাইন মাধ্যমে “৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে পুরোটাই পাচার” এবং “Smart syndicate sips millions of dollars from IDRA automation” শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ স্মার্ট টেকনোলজিস’র নজরে এসেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাধিক অংশে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড এর নামে ভূল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের পরিচালক আবু মোস্তফা চৌধুরী সুজন এর স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদ লিপি কমপিউটার বিচিত্রা বরাবর প্রেরণ করেন। কমপিউটার বিচিত্রায় পাঠানো প্রতিবাদ লিপির হুবুহু প্রকাশিত হলো……
আপনি অবগত আছেন যে, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি তথ্যপ্রযুক্তি পন্য আমদানীকারক, বাজারজাতকারি ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের প্রায় ৮০টিরও বেশি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অফিশিয়ালি যুক্ত স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। গ্রাহক সেবা নিশ্চিতের জন্য দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহর সহ বৃহৎ জেলা শহরগুলোতে আমাদের নিজস্ব শাখা অফিস রয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাধিক অংশে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড এর নামে ভূল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে
আবু মোস্তফা চৌধুরী সুজন, পরিচালক- স্মার্ট টেকনোলজিস
সারাদেশে ২৫০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠানকে পন্য সরবরাহ এবং বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে স্মার্ট টেকনোলজিসের রয়েছে ২০০০ এর অধিক কর্মী যা বাংলাদেশের আর কোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে নেই। স্মার্ট টেকনোলজিস নিজস্ব দক্ষতা এবং পরিশ্রম দিয়ে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান যা কখনোই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কোন প্রকার প্রকল্পের কাজ করেনি। স্মার্ট টেকনোলজিস বিগত ২৫ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অসংখ্য প্রকল্প নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে এবং কোথাও কোন কাজ অসম্পন্ন রাখেনি।
প্রতিবেদনে যে প্রকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে স্মার্ট টেকনোলজিস বিশ্বব্যাংক এর প্রকল্প নাম্বার জি২-২ এবং জি-৩৩ এর সঙ্গে যুক্ত। এই প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে জি২-২ প্যাকেজের কাজ আমরা শতভাগ সম্পন্ন করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দিয়েছি এবং জি-৩৩ প্যাকেজের কাজ ৯৫% সম্পন্ন করেছি যার বাকি ৫% কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের ৩০ মার্চ তারিখে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড’কে আইটি অ্যান্ড সাপোর্টিং নেটওয়ার্ক ইনফ্রাসট্রাকচার সিস্টেমস, সার্ভার অ্যান্ড স্টোরেজ (একটিভ অ্যান্ড প্যাসিভ) ফর জেবিসি, এসবিসি, বিআইএ অ্যান্ড আইডিআরএ (প্যাকেজ নং জি২-২) এর নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। প্রকল্পের চুক্তিপত্র অনুযায়ী আর্থিক মূল্য ছিলো ১০৩০৩৭০০.৫৬ মার্কিন ডলার এবং ২৬৩৯৯৮১৮.০৩ বাংলাদেশি টাকা। এই প্রকল্পে অতিরিক্ত কোন অর্থ স্মার্ট টেকনোলজিসকে বরাদ্দ দেয়া হয়নি। সুতরাং, প্রতিবেদনে উল্লেখিত অতিরিক্ত আড়াই কোটি টাকা স্মার্ট টেকনোলজিসকে বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন ভূল তথ্য।
উক্ত জি২-২ প্যাকেজ এর চুক্তিপত্র অনুযায়ী শতভাগ ডেলিভারি, ইনস্টলেশন এবং হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়েছে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ যার কার্যক্রম সমাপ্তি সংক্রান্ত সনদ ইস্যু করেছে । প্রকল্পের বাস্তবায়ন পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের বিদেশি প্রতিনিধিদল একাধিকবার সরেজমিনে প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। এরপর প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে, আবারও বিশ্বব্যাংকের বিদেশি প্রতিনিধিগণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত অতিরিক্ত আড়াই কোটি টাকা স্মার্ট টেকনোলজিসকে বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন ভূল তথ্য
আবু মোস্তফা চৌধুরী সুজন, পরিচালক- স্মার্ট টেকনোলজিস
উল্লেখ্য, এই প্যাকেজের আওতায়, প্রত্যেকটি উপকারভোগী প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি করে ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে যা টায়ার ফোর ডাটা সেন্টার বাংলাদেশ হাইটেক পার্কে অবস্থিত। উপরন্তু, প্রত্যেকটি উপকারভোগী প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি করে নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে যা প্রত্যেকটি উপকারভোগী প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত। ইতোমধ্যেই প্যাকেজ এর উপকারভোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ-সাধারন বীমা কর্পোরেশন, জীবন বীমা কর্পোরেশন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স একাডেমী এটি ব্যবহার করছে।
২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড’কে আইটি অ্যান্ড সাপোর্টিং পাওয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডিআর (একটিভ অ্যান্ড প্যাসিভ) ফর আইডিআরএ, জেবিসি অ্যান্ড এসবিসি (প্যাকেজ নং: জি-৩৩) এর নোটিফিকেশন অব অ্যায়ার্ড প্রদান করে। প্রকল্পের কার্যাদেশ অনুযায়ী আর্থিক মূল্য ছিলো ৯৬৮৫৭২৫.৩০ মার্কিন ডলার এবং ৬৭২১২৮০৫.২১ বাংলাদেশি টাকা।
উক্ত জি-৩৩ প্যাকেজ এর চুক্তিপত্র অনুযায়ী স্মার্ট টেকনোলোজিস শতভাগ পন্য ডেলিভারি এবং ইনস্টলেশন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু, উপকারভোগী প্রতিষ্ঠান সাধারন বীমা কর্পোরেশন, জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ এর নির্ধারিত প্রকল্প স্থানে যথাসময়ে বিদ্যুত সরবরাহ না পাওয়ার কারনে হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। অতি সম্প্রতি সাধারন বীমা কর্পোরেশন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ এর নির্ধারিত স্থানে বিদ্যুত সরবরাহ পাওয়ার পর চুড়ান্ত কনফিগারেশন কার্য চলমান রয়েছে।
প্রকল্পের ২০ শতাংশের কম কাজ সম্পন্ন করে পুরো অর্থ তুলে নেয়ার তথ্যটি সম্পূর্ন ভূল, কল্পনাপ্রসুত এবং বিভ্রান্তিকর
আবু মোস্তফা চৌধুরী সুজন, পরিচালক- স্মার্ট টেকনোলজিস
অন্যদিকে, জীবন বীমা কর্পোরেশন এর নির্ধারিত প্রকল্প স্থানে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুত সংযোগ স্থাপিত না হওয়ায় কনফিগারেশনের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই বিদ্যুত সরবারহের কাজ স্মার্ট টেকনোলজিস এর এখতিয়ারের মধ্যে নেই। তাই, বিদ্যুত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চুড়ান্ত কনফিগারেশন সম্পন্ন করে পুরো প্রকল্প হস্তান্তরে স্মার্ট টেকনোলজিস সচেষ্ট।
চুক্তিপত্র অনুযায়ী, শতভাগ পন্য সরবরাহ এবং ইন্সটলেশন সম্পন্ন করা সত্ত্বেও, স্মার্ট টেকনোলজিস উক্ত প্রকল্পের আর্থিক মূল্য ৯৬৮৫৭২৫.৩০ মার্কিন ডলার এর বিপরীতে মাত্র ৮০ শতাংশ এবং ৬৭২১২৮০৫.২১ বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে মাত্র ১০ শতাংশ পেমেন্ট এখন পর্যন্ত গ্রহন করেছে। উল্লেখ্য, বিদ্যুত সংক্রান্ত কারনে প্রকল্প হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায়, ইতোমধ্যেই টাইম এক্সটেনশন অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সুতরাং, প্রকল্পের ২০ শতাংশের কম কাজ সম্পন্ন করে পুরো অর্থ তুলে নেয়ার তথ্যটি সম্পূর্ন ভূল, কল্পনাপ্রসুত এবং বিভ্রান্তিকর। এ ছাড়াও, প্রতিবেদনের অন্য একটি স্থানে যে অতিরিক্ত ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, সেটিও সম্পূর্ন ভূল।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারনে সৃষ্ট নেতিবাচক ধারনা নিরসনে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা জরুরি বলে মনে করে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড।