পণ্য সম্পর্কে

পোর্টেবল এআই ল্যাপটপে গেমিং: আসুস টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬

গেমারদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ল্যাপটপে একইসঙ্গে ভালো পারফরম্যান্স, পাওয়ার এবং পোর্টবিলিটি খুঁজে পাওয়া। অনেক সময় ক্লাউড পরিষেবার ওপর নির্ভরশীলতাও ল্যাপটপের গতি কমিয়ে আনে এবং খরচও বৃদ্ধি করে। গতানুগতিক গেমিং ল্যাপটপগুলোর ক্ষেত্রেও দেখা যায় সেগুলো ওজনে ভারী ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্যও উপযোগী নয়।

এমন সব সমস্যার সমাধান হলো আসুস এর টাফ গেমিং এ১৪ এবং টাফ এ১৬ ল্যাপটপ দুটি। পাওয়ারফুল এআই প্রসেসর এবং কার্যকরী কুলিং সিস্টেমে এই গেমিং ল্যাপটপগুলো যেমন শক্তিশালী তেমনি হাই-এন্ড গেমিংয়ের ক্ষেত্রেও দেয় দারুণ পারফরম্যান্স। ল্যাপটপ দুটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বশেষ এএমডি রাইজেন ৯ এআই এইচএক্স ৩৭০ প্রসেসর।

শক্তিশালী এআই প্রসেসর
আসুস টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬-এর মূলশক্তি হলো এএমডির প্রসেসর রাইজেন ৯ এআই এইচএক্স ৩৭০। এই ল্যাপটপগুলোতে রয়েছে ১২টি কোর, ২৪টি থ্রেড এবং ৫০টি এআই পারফরম্যান্স সক্ষম ইন্টিগ্রেটেড নিউরাল প্রোসেসিং ইউনিট (এনপিইউ)। রিয়েল-টাইম সাবটাইটেল তৈরি, ই-মেইল লেখা এমনকি ভুল-ত্রুটিও সহজে সমাধান করতে সক্ষম এই এনপিইউ।

গেমিং থেকে শুরু করে প্রোডাকটিভিটির বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এআই পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে ল্যাপটপ দুটির প্রসেসর। এ ধরনের এআই সক্ষমতা থাকায় ল্যাপটপে ক্লাউড প্রসেসিংয়ের প্রয়োজন কমে যায়। ফলে ল্যাপটপের পারফরম্যান্স হয় আরও দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী।

গেমিংয়ে এনভিডিয়া আরটিএক্স জিপিইউ
আসুস টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬ মডেলগুলোতে আছে এনভিডিয়া আরটিএক্স ৪০৬০ এবং আরটিএক্স ৪০৭০ জিপিইউ। অসাধারণ ভিজ্যুয়ালের সঙ্গে আল্ট্রা সেটিংসেও দেয় স্মুথ ও ল্যাগ-ফ্রি এক্সপেরিয়েন্স। ৫০০টিরও বেশি এআই-চালিত গেম এবং অ্যাপ্লিকেশনের সাপোর্ট করে এই জিপিউগুলো। এমনকি ছবি ও ভিডিও এডিটিং, ইমেজ জেনারেশন এবং প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করে দারুণ পারফরম্যান্স। এ ছাড়া, ল্যাপটপের ডিএলএসএস সুপার রেসোলিউশন, ফ্রেম জেনারেশন এবং রে-রিকন্সস্ট্রাকশনের মতো ফিচারগুলো গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্বচ্ছ এবং দ্রুত রেসপন্সিভ।

পোর্টেবল ডিজাইনে পাওয়ারফুল ল্যাপটপ
প্রথমবারের মতো, আসুসের টাফ গেমিং লাইনআপে ১৪-ইঞ্চি ফর্ম ফ্যাক্টর যুক্ত হয়েছে। টাফ গেমিং এ১৪ ওজনে মাত্র ১.৪৬ কেজি এবং এর পুরুত্ব মাত্র ১.৬৯ সেন্টিমিটার। তাই সহজেই এটি বহন করা যায়। অন্যদিকে, টাফ গেমিং এ১৬ মডেলটি এ১৪ থেকে সামান্য ভারী। এ১৬ ওজনে ২.২ কেজি। তবে এর স্ক্রিন সাইজে বড় এবং আরও বেশি কানেক্টিভিটির সুবিধা দেয়। মাত্র ১.৭৯ সেন্টিমিটার পাতলা এবং আকর্ষণীয় ১৬-ইঞ্চি চেসিসে এই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। এআই এবং গেমিং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের দিবে সর্বোচ্চ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।

উভয় মডেলই টেকসই মিলিটারী গ্রেড এমআইএল- এসটিডি স্ট্যান্ডার্ডে ফিচারের। তাই গেমিং, কাজ, কিংবা ভ্রমণের সময় ব্যবহার করলেও এই ল্যাপটপগুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য। সাধারণত গেমিং ল্যাপটপগুলো রঙিন ও ভারী হয়ে থাকে। কিন্তু আধুনিক ডিজাইনে আসুসের এই ল্যাপটপগুলো একদম আলাদা। এতে আছে প্রিমিয়াম গ্লাস টাচপ্যাড এবং কাস্টমাইজযোগ্য আরজিবি কীবোর্ড। গেমিং অথবা অফিসে কাজের সময় উভয় পরিবেশে এমন ডিজাইনের ল্যাপটপ মানানসই।

চমৎকার ভিজ্যুয়াল
টাফ গেমিং এ১৪ ও এ১৬ দুইটি ডিভাইসেই রয়েছে ডব্লিউকিউএক্সজিএ (২৫৬০x১৬০০) রেজ্যুলেশন এবং ১৬৫ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে। এতে ভিজ্যুয়াল হয়ে ওঠে মসৃণ এবং চমৎকার। তাই গেমিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের ছবি হয়ে ওঠে আরও প্রানবন্ত। ল্যাপটপগুলোর জি-সিংক টেকনোলজি দেয় স্মুথ গেমিং এক্সপেরিয়েন্স। এ ছাড়া, স্টোরেজ বাড়ানো এবং পারফরম্যান্স বৃদ্ধির জন্য আছে ডুয়াল-চ্যানেল এলপিডিডিআরফাইভ মেমরি এবং ডুয়াল এমটু-এসএসডি স্লট।

উন্নত কুলিং এবং মাল্টিপেল কানেক্টিভিটি
ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় প্রায় সব ল্যাপটপই গরম হয়ে যায়। আসুসের টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬ ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক কুলিং সিষ্টেম। তাই দীর্ঘ সময় ধরে গেম খেললেও ডিভাইসগুলো ঠাণ্ডা থাকে। বিশেষ করে এ১৬ মডেলে রয়েছে ফুল-উইডথ হিটসিঙ্ক এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের এআরসি ফ্লো ফ্যান, যা তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমিয়ে আনে এবং স্থিতিশীল পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রেও এই ল্যাপটপগুলো আলাদা। ল্যাপটপ বহনের জন্য টাফ গেমিং এ১৪ এ আছে প্রয়োজনীয় সব পোর্ট। আর বিভিন্ন কাজ এবং ডিভাইস সংযোগের জন্য এ১৬ এ আছে নানান পোর্ট অপশন। উভয় মডেলেই আছে ইউএসবি-সি সাপোর্ট।

আসুস টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬ গেমিং ল্যাপটপের জন্য একটি নতুন ষ্ট্যাণ্ডার্ড। এএমডি রাইজেন ৯ এআই এইচএক্স ৩৭০ প্রসেসর, এনভিডিয়া আরএক্সটি জিপিইউ এবং এআই ফিচার নিয়ে এই ল্যাপটপগুলো নিশ্চিত করে অসাধারণ পারফরম্যান্স। ঝকঝকে মজবুত ডিজাইন, চমৎকার ডিসপ্লে এবং আধুনিক ফিচারের এই ল্যাপটপগুলো তাই গেইমার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং পেশাদারদের জন্য নির্দ্বিধায় উপযুক্ত।

বাংলাদেশে আসুস টাফ গেমিং এ১৪ (২০২৪) এর মূল্য ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং আসুস টাফ গেমিং এ১৬ (২০২৪) এর মূল্য হলো ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *