পলিসি প্রণয়নে তরুণদের অধিক সম্পৃক্ত করা উচিত: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: সরকারের বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে উদ্ভাবনী দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তরুণরা পথ দেখাবে। পলিসি প্রণয়নে তরুণদের অধিক সম্পৃক্ত করা উচিত। কারণ তরুণরা তথ্য-প্রযুক্তির গতিশীল রূপান্তরের সঙ্গে সহজে খাপ খাওয়াতে পারে। এই রূপান্তরকে পলিসি মেকিং এর সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে হবে। তরুণদের উপস্থাপিত পলিসি সংক্রান্ত প্রস্তাবসমূহ নাগরিক পর্যায়ে কোয়ালিটিটিভ ও কোয়ান্টিটিভ সার্ভের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে পলিসিগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
আজ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব: বাংলাদেশের উদ্ভাবনী সম্ভাবনা ও প্রয়োগ ক্ষেত্র’ শীর্ষক জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, শাবিপ্রবি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসাইন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের স্বতন্ত্র পরিচালক তানভীর আলি। সভাপতিত্ব করেন শাবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “পলিসি সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা দেশের জন্য আশাজাগানীয়া। এ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগিদের বিজয় প্রমাণ করে দেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব যোগ্যদের হাতেই যাচ্ছে। যারা স্টার্টআপ নিয়ে আগ্রহী তাদের স্টার্টআপকে একাডেমিক ক্রেডিটে অন্তর্ভূক্ত করা, কানেক্টিভিটির ফ্যাসিলিটি বৃদ্ধি করা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা উচিত। দেশের লিগাল গাইডলাইনের ভিতরে থেকে পলিসি বাস্তবায়ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”
প্রতিযোগিতা শেষে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিজয়ীদের মেডেল, ক্রেস্ট ও অর্থমূল্য পুরস্কার প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি দল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় টিম অরুণাভ। প্রথম রানারআপ হয় টিম ক্যাপিটাল মিত্র ও দ্বিতীয় রানারআপ হয় টিম সুনাগরিক।