নেতৃত্ব সংকটে ই-ক্যাব ও নির্বাচন নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

ক.বি.ডেস্ক: নানা বিতর্কে জর্জরিত দেশের ই-কমার্স খাতের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। গত ১৩ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ই-ক্যাব’র সভাপতি শমী কায়সার। এরপর থেকে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন। এবার কার্যনির্বাহী পরিষদের (ইসি) ৯ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে সংগঠনটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পদত্যাগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেন সহ-সভাপতি সাইয়েদা আমবারিন রেজা। বর্তমানে ই-ক্যাব’র ১১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহাব উদ্দীন শিপন ব্যতীত আর কেউ নেই। ফলে দেশের ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের এই জাতীয় সংগঠনটি কার্যত এখন নেতৃত্ব সংকটের সম্মুখীন।
সংগঠনটির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে প্রতারণা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আকড়ে রাখা, সদস্যদের মতামত অগ্রাহ্য এমনকি বাস্তবে কোনো ই-কমার্স ব্যবসায়ী না হয়েও সংগঠনের ইসি কমিটিতে থাকাসহ বহু অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ই-ক্যাব অফিসে সাধারণ প্রার্থীসহ কয়েকজন ই-ক্যাব সদস্যের ক্ষোভ প্রকাশের পর সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের রাজনৈতিক মতাদর্শ ও কার্যক্রম নিয়ে ঘোরতর আপত্তি তোলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে ই-ক্যাব অফিস কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এসময় বেশ কয়েকজনের পদত্যাগ চেয়েছিল ক্ষুব্ধরা।
ই-ক্যাব’র ১১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদের যে ৯ জন সদস্য পদত্যাগ করেন তারা হলেন: সহ-সভাপতি সাইয়েদা আমবারিন রেজা, সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তাসফিন আলম, অর্থ সচিব আসিফ আহনাফ, পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক শাহরিয়ার হাসান, কমিউনিকেশন অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মো. সাইদুর রহমান, গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মোহাম্মদ ইলমুল হক এবং পরিচালক অর্নব মোস্তফা।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই ই-ক্যাব’র ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাঝে সরকারের জারি করা কারফিউয়ের কারণে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। গত সপ্তাহে ৩ সদস্যের নির্বাচন বোর্ডের সকলেই পদত্যাগ করেন। ফলে কার্যনির্বাহী পরিষদের পরবর্তী নির্বাচন আয়োজন নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।