নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ ও অভিযোজন করা প্রয়োজন: আলমাস কবীর
ক.বি.ডেস্ক: এফবিসিসিআই এর “উদ্যোগে এক্সপোর্ট চ্যালেঞ্জেস অব বাংলাদেশ আফটার গ্রাজুয়েশন ফ্রম এলডিসি স্ট্যাটাস: অপশনস ফর দি প্রাইভেট সেক্টর” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার (১৬ এপ্রিল) এফবিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিতে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা ড. মোস্তফা আবিদ খান।
সেমিনারে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, সরবরাহ শৃঙ্খলা অব্যহত রাখা, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ৫জি, ব্রডব্যান্ড পৌছে দেয়া, শিল্পের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংযোগ, প্রযুক্তি অভিযোজন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের আগের চার বছর মোটেও কম সময় নয়। বাংলাদেশ যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার করা হিসাব পরিবর্তন করে দেবে।
সেমিনারে এফবিসিসিআইর পরিচালক ও বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বারর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে উতপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে নতুন প্রযুক্তি আইওটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স ইত্যাদি গ্রহণ ও অভিযোজন করা প্রয়োজন। এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য হিউম্যান ক্যাপিটাল তৈরী করতে হবে এবং এর জন্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট জরুরী। এ বিষয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশেষ ভূমিকা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরও বেশী ফরওয়ার্ড লুকিং হতে হবে। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ওপর জোর দিতে হবে।
আলমাস কবীর দেশে অ্যাসেম্বলিং ও ম্যানুফ্যাকচারিংকে উতসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পলিসি গঠন, ব্যবসা সহজীকরণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ করার ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান। এর ফলে উন্নত দেশ থেকে স্কিল ট্রান্সফার হবে। চলমান মেগা প্রজেক্টগুলোতে বিদেশ থেকে শত শত কোটি টাকার বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস আমদানি না করে দেশেই সেগুলোর অ্যাসেম্বলিং করলে নলেজ ও স্কিল ট্রান্সফার হবে। ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরী করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন। ট্যাক্স পলিসি-মেকার এবং ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কখনই এক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
সেমিনারে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, এমসিসিআইর সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদ, এফবিসিসিআইর উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।