দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা সম্প্রসারণে ‘বেসিস জাপান ডে ২০২৪’ অনুষ্ঠিত

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য উন্নয়ন, ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং আইসিটিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরতে ‘বেসিস জাপান ডে ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দু’টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন: জাপান-বাংলাদেশ সহযোগিতার সুযোগ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং বেসিস ও মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত জাপানের ভাষা শিক্ষা প্রোগ্রাম বি-মিট এর ৯টি ব্যাচের উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজন করেছ ‘বেসিস জাপান ডে ২০২৪’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী ও আইসিটি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার (সমন্বয় এবং সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসিস জাপান ডে ২০২৪-এর সহ-আহ্বায়ক দেওয়ান সামির। সঞ্চালনা করেন বেসিস জাপান ডেস্ক-এর চেয়ারম্যান এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের পরিচালক ইয়াসুয়ে ইয়োশিনারি, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিদে এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সভাপতি তারেক রফি ভূঁইয়া (জুন), মিয়াজাকি সিটির ভাইস মেয়র হিদেনারি নাগায়ামা, জেট্রো’র গবেষণা উইং আইডিই’র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মায়োমি মুরায়ামা।
অনুষ্ঠানে দু’টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেসিস জাপান ডেস্ক এবং মিয়াজাকি আইটি প্লাস-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তিতে বেসিস-এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন বেসিস জাপান ডেস্ক-এর চেয়ারম্যান এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু এবং মিয়াজাকি প্লাসের প্রেসিডেন্ট নোরিয়াকি ওয়াকাদা। অপর চুক্তিটি সম্পাদিত হয়েছে অনুষ্ঠানের গোল্ড স্পন্সর কাওয়াই ও ই-গ্রোথ এর সঙ্গে।

অনুষ্ঠানে “ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন: জাপান-বাংলাদেশ সহযোগিতার সুযোগ” শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিটি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “বর্তমানে বিশেষ করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময়ে আইসিটি অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এক্ষেত্রে জাপানের আইসিটি খাতে বাংলাদেশের তরুণেরা সেরা কর্মী। এই সময়ে জাপান আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। জাপান সরকার ও বিনিয়োগ কারীদের সহায়তায় আমরা আগামী দিনে আমাদের মেরুদন্ডকে আরও শক্তিশালী করতে পারবো বলে আশা রাখি। বাংলাদেশের দক্ষ-স্বল্পদক্ষ তরুণদের জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।”
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, “সরকারি-বেসরকারি উভয়ের মধ্যেই আইসিটি উন্নয়নে প্রতিযোগিতা, সহযোগিতা ও দীর্ঘ মেয়াদি ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আর ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়ন হলে জাপান থেকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ আসবে। বাংলাদেশ জাপানের বিনিয়োগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বাংলাদেশ আইসিটির দিক থেকে অনেক এগিয়েছে। তাই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের আইসিটি খাত একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনাময় খাত। তাই আইসিটি খাতে বাংলাদেশ ও জাপানের একসঙ্গে কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে।”