উদ্যোগ

দেশের প্রথম সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে ডেটা সেন্টার চালু করল বাংলালিংক

ক.বি.ডেস্ক: পরিবেশবান্ধব উপায়ে টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গাজীপুরে সৌরবিদ্যুৎ চালিত ডেটা সেন্টার চালু করেছে বাংলালিংক। গাজীপুরে নিজেদের ডেটা সেন্টারে ৮০ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ সোলার পাওয়ার সিস্টেম ইনস্টল করে দেশের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর (এমএনও) হিসেবে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করে ডেটা সেন্টার চালু করল। টেলিযোগাযোগ খাতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা ও টেকসই অবকাঠামো গঠনে এ উদ্যোগ বাংলালিংকের ইএসজি যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

সর্বোচ্চ জ্বালানি উৎপাদন ও কার্যকারিতা নিশ্চিতে কঠোর মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এ উদ্যোগ দেশের এনার্জি এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড কনজারভেশন মাস্টারপ্ল্যান ২০৩০ (ধারা ২.১.৩ (২)) -এর টেকসই ভিত্তি স্থাপনে বাংলালিংকের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ উদ্যোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিমালা মেনে চলার ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে। প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্ক পরিচালনা থেকে ডেটা ব্যবস্থাপনা ও জ্বালানি ব্যবহার, ডিজিটাল অবকাঠামোর প্রতিটি ধাপে টেকসই ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে নিজেদের লক্ষ্যপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন তুর্কের বলেন, “সবুজ এ উদ্যোগ পরিবেশের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ০.১৩ জিডব্লিউএইউচ (গিগাওয়াট ঘণ্টা) সবুজ জ্বালানি উৎপন্ন হবে। প্রতিবছর ৬০ টন কার্বন নিঃসরণ কম হবে এবং জ্বালানির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রতিবছর প্রায় ১২,৬০০ মার্কিন ডলার ব্যয় সাশ্রয় হবে। ছাদের অব্যবহৃত ৯ হাজার বর্গফুট জায়গায় এ সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ইনস্টল করা হয়েছে। দ্রুতই প্রকল্পে বিনিয়োগের পুরো খরচ ওঠে আসবে। বাংলালিংক ভবিষ্যতে অব্যবহৃত আরও স্থান কাজে লাগিয়ে সবুজ জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে। পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানোর পাশাপশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা ও কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাসে সবার এগিয়ে আসা উচিত।”

সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলালিংক কার্বন নিঃসরণে ও সামগ্রিকভাবে পরিবেশের ওপর নিজেদের কার্যক্রমের প্রভাব কমানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যৎ উপযোগী করে তোলা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির যাত্রায় একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। এ খাতে সবুজ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। সময়োপযোগী এ উদ্যোগ গ্রহণ করে পরিবেশগত প্রভাব কমানোর লক্ষ্যপূরণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বাংলালিংক। ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষা এবং একইসাথে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *