দেশীয় বাজারে যে পরিমান জনবল দরকার সেই পরিমান দক্ষ জনবল এখনো গড়ে উঠেনি
ক.বি.ডেস্ক: দেশে আইসিটি শিল্পের বাজার আয়তন বর্তমানে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এর আয়তন ক্রমবর্ধমান। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ব্যাবহারে বাড়ছে জনসম্পদের চাহিদা। ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরী, ডাটা এনালাইসিস, সাইবার সিকিউরিটি, সফট্ওয়্যার, মেশিন লানিংসহ নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং,ক্লাউট টেকনোলজির মত্ এডভান্স প্রযুক্তিতে জনসম্পদের চাহিদা বর্তমানে ক্রমবর্ধমান। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাজারে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং কাষ্টমার সার্ভিস কাজ করার বিশাল সুযোগ। তবে দেশীয় বাজারে যে পরিমান জনবল দরকার সেই পরিমান দক্ষ জনবল আমাদের এখনো গড়ে উঠেনি।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দক্ষ জনগোষ্ঠী থাকলেও তারা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে কিংবা দেশে বসেই কাজ করছে বিদেশী প্রতিষ্টানের জন্য। জনবলের স্বল্পতা সঙ্গে মেধা প্রাচারসহ ফ্রিল্যান্সিং এর কারনে স্থানীয় বাজারের সক্ষমতা অর্জন ক্রমশ: কঠিন হয়ে পড়ছে। এই বিষয়ে এখই সবার গুরুত্ব দেয়া উচিত। চাহিদা অনুযায়ী জনসম্পদ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্টানসহ ইন্ড্রাষ্ট্রী এবং সরকারকে। নিশ্চিত করতে হবে নারীর অংশগ্রহন।নিতে হতে হবে যুথবদ্ব কর্মপরিকল্পনা করতে হবে এর সফল বাস্তবায়ন। ফিরিয়ে আনতে হবে দেশের মেধাশক্তিকে তার জন্য পরিবর্তন আনতে হবে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের এবং সংশ্লিষ্টদের মানসিকতার, বাজার উন্নয়নে উতসাহিত করতে হবে দেশীয় স্টার্টআপ এবং ফ্রিল্যনসারদের। পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে হবে, পাঠ্যক্রম, পাঠ পদ্বতি, তথ্যপ্রযুক্তির শ্রমআইনসহ নিয়োগ পদ্বতির। সম্প্রতি বেসিস এবং টেক ট্যালেন্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘তথ্যপ্রযুক্তিতে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনসম্পদের যোগানের অপ্রতুলতা দূরীকরনের উপায়’’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা এই মন্তব্যগুলো করেন।
গোল টেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, বেসিস এডভাইজারী স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম রাশেদুল হাসান, পিএমস্পীয়ার সিংগাপুর প্রা. লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, এডিএন ডিজিনেট লিমিটেডের সিইও সৈয়দ শোহায়েল রেজা, সুপারস্টার গ্রুপের সিইও মোহাম্মদ মারিফুর রহমান, ডাটাসফট সিষ্টেম বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব আইওটি সামি আল ইসলাম, ইজেনারেশন লিমিটেডের প্রধান হিইম্যান রিসোর্স কর্মকর্তা ইসমত জাহান, বেসিস সদস্য সেবা ও কল্যাণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির নির্বাহী পরিচালক আবু ইসা মোহাম্মদ মাইনুদ্দীন, আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক দীপ নন্দী এবং এসইবিপিও লিমিটেডের প্রধান হিউম্যান রিসোর্স অফিসার রায়হানুল ইসলাম। আলোচনায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন টেকটেলেন্টের সিইও মোহাম্মদ আসিফ। সঞ্চালনায় ছিলেন টেকনোগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু।
মোহাম্মদ আসিফ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রীর বা বাজারের আয়তন ২ বিলিয়ন ডলার। সরকারীভাবে নাগরিক সেবা, সরকারী কাজকর্মে এবং বেসরকারীভাবে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ফলে এই বাজারের আয়তন ক্রমবর্ধমান। সেইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান এই খাতের শ্রম চাহিদা। কিন্তু দক্ষ জনসম্পদের অভাবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রত্যাশিত উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে যা এই মর্হুতে এই খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। একই কারনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ গ্রহনে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
দক্ষ জনসম্পদের অপ্রতুলতার অন্যতম কারনগুলোর একটি হলো শিক্ষাকারিকুলাম যার সঙ্গে বাস্তবিক শ্রম চাহিদার যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। নেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সঙ্গে ব্যাবসা, কমিউনিকেশন, ক্রেতা সেবার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাধারণ জ্ঞানসহ সফট স্কিলে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ ও আগ্রহ। অপরদিকে দক্ষ জনসম্পদের বড় একটা অংশ চলে যাচেছ দেশের বাইরে আর যারা দেশে আছে তাদের মধ্যে সিংহভাগই উতসায়িত আর্ন্তজাতিক বাজারে ফ্রিল্যন্সিং এ। মেধাপ্রাচারে বাংলাদেশের অবস্থান এশিয়ার মধ্যে চতুর্থ। তাই দক্ষজনশক্তি তৈরী এবং তাদের যথাযথ সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দেশীয় বাজারে শ্রম সক্ষমতা অর্জনে সর্তক হবার এখনই সময়।
আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সারাদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ রয়েছে, এই কলেজগুলোতে যদি তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক কোর্স বা ডিগ্রী চালু করা যায় তাহলে আমরা বেশী সংখ্যাক ছাত্র/ছাত্রীকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবো। অপর দিকে তথ্যপ্রযুক্তিতে পেশাজীবিদের স্বার্থ সুরক্ষায়ও আমাদের মনোযোগী হতে হবে। সেইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি শ্রমিকের জন্য আলাদা শ্রম আইন বা আইনের পরিমার্জন এখন সময়েরে দাবী।
আবু ইসা মোহাম্মদ মাইনুদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটালাইশের সময়টা পার করে এখন স্মার্ট বালাদেশের পথে এবং আমরা এখন সম্পদ ডিজিটালাইজেশন পরবর্ত্তী সমস্যার সন্মুখীন। তথ্যপ্রযুক্তি বলতে এখন কেবল সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার ইন্টাস্ট্রীকে বোঝায় না বরং সহায়ক হিসাবে তথ্যপ্রযুক্তি এখন সকল সেক্টরেই কমবেশী গুরুত্বপূর্ন। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে হিসাবে উন্নীত স্বপ্ন দেখছি। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাতীত অসম্ভব যেখানে দক্ষ মানব সম্পদ গুরুত্বপূর্ন। দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার এই বিশাল কাজ একার পক্ষে করা সম্ভব নয়, প্রয়োজন যুথবদ্ধ প্রচেষ্ঠা।
সামি আল ইসলাম বলেন, আমরা অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি না পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই দোষারোপ করি। কিন্তু কারিকুলাম পরিবর্তন করলেই যে দক্ষ জনশক্তি পাওয়া যাবে এ ধারনাটা কত যুক্তিযুক্ত তা ভাববার বিষয় রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দক্ষ জনবল তৈরীর কাজ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় হতেই শুরু করতে হবে এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ের মত এবিষয়েও ব্যাবহারিক ক্লাস সংযুক্ত করতে হবে। তাহলে তাদের মৌলিক বিষয়গুলোতে আগ হতেই একটা ধারনা জন্মাবে যা স্নাতকে এসে সাহায্য করবে। এ্যাডভান্স টেকনোলজির পাশাপাশি আমাদের টেকনেশিয়ান বা সাধারন প্রযুক্তি দক্ষ জনবলেরও অভাব রয়েছে সেদিকেও মনোযোগী হতে হবে।
ইসমত জাহান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহন এখনও অনেক কম সব মিলিয়ে মাত্র ১৬% আর বিশ্বে ২১% । মেয়েদের এখাতে কাজ করবার ক্ষেত্রে এ ধরনের ভয় কাজ করে, তারা ধরে নেয় এটা পুরুষশাসিত একটি সেক্টর এবং এখানে নিজেদের এগিয়ে যাবার বা পদোন্নতির সুযোগ কম হবে। ধরে নেয়া হয় কর্ম পরিবেশটা নারীবান্ধব নয়। এই ভয়টা কাটাতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো লিডারশিপ বা নেতৃত্ব। তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করছেন তাদেরকে দায়িত্বর্পুর্ণ কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সহযোগিতার মাধ্যমে তাদেরকে সফল হতে সহায়তার মাধ্যমে রোল মডেল হিসাবে তৈরী করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ এখনো নারীদের প্রতি বৈষম্য করা হয়,একই কাজে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মজুরী কম ধরা হয় তথ্যপ্রযুক্তি কাজে এই বৈষম্য দুর করতে হবে। তাই শ্রমনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশিল্ষ্ট কর্মকর্তাদের এখাতে কাজ করা মানবসম্পদের কাজের ধরন এবং কাজের চ্যালেঞ্জটা বুঝতে হবে এবং সেভাবে তাদের ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
রায়হানুল ইসলাম বলেন, কল সেন্টারের মানব সম্পদ প্রপ্তির বড় প্রতিবন্ধকতা হলো এক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ নেই-আমাদেরকে নিয়োগ দিয়ে তাদেরকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্ম উপযোগী করে তুলতে হয়। কিন্তু বড় ক্ষতিটা হয় যখন প্রশিক্ষনের একেক পর্বে এসে একেকজন কাজ ছেড়ে চলে যায়। এর বড় কারন হলো কলস্টোরে কাজ করাটার পেশাগত মর্যাদা। আমাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তিতে সাম্ভাব্য ক্যারিয়্যারের সুযোগগুলো বা কাজগুলোর ব্রান্ডিং দরকার, কোন কাজ কতটা সন্মানের বা কোন কাজে কি কি দক্ষতা লাগবে বা কাজের ধরন কি ইত্যাদি বিষয়ে মানুষকে জানানো প্রয়োজন। অপরদিকে সফট স্কিলের অভাবসহ তরুন-তরুনীদের প্রফেশনাল আচার আচরনে দক্ষতা থাকেনা। আর প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের পর তাদেরকে আর ধরে রাখা যায়না যার ফলে আমাদের জনসম্পদ উন্নয়ন ব্যায় বেড়ে যায়।
সৈয়দ সোহায়েল রেজা বলেন, পরিবর্তনশীল প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে, এ খাতের পেশাজীবিদের উচিত নিজেদেরকে প্রতিনিয়ত তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আপডেট রাখা। পাশ করে বের হবার পর তরুরদের টার্গেটই থাকে কর্পোরেট হাউজে কাজ করা আইটি কোম্পানীগুলোতে নয়। ফলে তাদের ব্যবহারিক দক্ষতার সঠিক উন্নয়নটা হয়না। চিকিতসা সেবার মত যদি কমপিউটার সায়েন্সে শেষ বর্ষের পর ১ বতসরের একটা ইন্টার্নশীপ বাধ্যতামূলক করা যায় তাহলে দক্ষতার উন্নয়নটা তার ফোকাস এরিয়াতে হয় এবং কর্মক্ষেত্রে তা ইতিবাচক ফলাফলে সহায়তা করতে পারে।
মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা কোভিড সময়ে এবং তার পূর্বে দুই দফায় ৫৩,০০০ ছেলে মেয়েকে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং আউটসোসিং এর ওপর প্রশিক্ষন দিয়েছি। আমরা দেখেছি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছেলে মেয়েরা এমনকি গৃহবধুরা এই প্রশিক্ষন হতে প্রাপ্ত জ্ঞানের ব্যাবহার করে কিভাবে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। আউটসোসিং এর ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ ফ্রিল্যান্সাররা আন্তজার্তিক বাজারে কাজ করে। এই দক্ষ জনগোষ্ঠিকে যদি স্থানীয় বাজারের কাজের সঙ্গে যুক্ত করা যায় তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবলের অভাবটা কিছুটা কমবে। এছাড়া আমাদের দেশের মেধাবী ছেলে-মেয়ে যারা বিদেশে কাজ করছে তাদেরকে যদি সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় তবে সেটাও দক্ষ জন শুন্যতা কাটাতে সহায়ক হবে।
মারুফুর রহমান বলেন, একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি পেশাগত যোগ্যতার উন্নয়নে সবারই পড়াশুনার সঙ্গে সঙ্গে ক্যারিয়ার সম্পৃক্ত কিছু প্রশিক্ষন গ্রহন করা উচিত, যাতে কর্মক্ষেত্রে তাদের কাজ করাটা সহজ হয়। ছাত্রাবস্থায় ক্যারিয়ার প্লানটা জরুরী। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে এইচআর যদি প্রযুক্তি বান্ধব না হয় তাহলে সমস্যা। তাই মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনাটাকে একটু ঢেলে সাজাতে হবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ক্ষেত্রে।
রাশেদ হাসান বলেন, দেশে শিক্ষিত বেকার সংখ্যা ৪০ লক্ষ। অথচ আমরা বলছি জনবলের অভাব। আসলে অভাব দক্ষতার। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গুনগত মানের তুলনায় ব্যবসায়িক লক্ষ অর্জন বা কেপিআই নিয়ে ভাববে এটাই স্বাভাবিক। তারা এটা ভাববে না যে ছাত্র/ছাত্রিরা গ্রাজুয়েট হয়ে চাকুরীর বাজারে অংশগ্রহন করতে পেরেছে কতটা আর কতটা পারে নাই বা কেন পারে নাই, তাদের ভাবনা ব্যবসা। ফিল্যান্সার তৈরী করে আমরা মেধা শ্রম অন্যদেশের জন্য ব্যয় করছি। অথচ দেশে তার চাহিদা রয়েছে। তাই আগে দরকার পরিকল্পনা, চাহিদা বিবেচনা করে কোন খাতে কতজন বা কেমন সংখ্যাক মানবসম্পদ লাগবে তার সঠিক তথ্য জানা দরকার।
দীপ নন্দী বলেন, ইন্ডাস্ট্রী একাডেমির সম্পর্ক উন্নয়ন সম্ভব হলে দক্ষ জনবল তৈরীর কাজটা সহজ হবে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রক্রিয়া এবং কারীকুলামের পরিবর্তন দরকার এটা সত্যি। কিন্তু আমরা যখন কোন কিছূ সম্পৃত্ত করতে বা পরিবর্তন করতে চাই আমাদেরকে ইউজিসি গাইডলাইন, বিআইডিই, গবেষনা এবং ইন্ডাস্ট্রী এই চারটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হয় সেখানে আমরা ইন্ডাস্ট্রী হতে কোন গাইড লাইন পাই না। কারিকুলামের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন নিয়মিত প্রশিক্ষন এবং ইন্ডাষ্ট্রীর কার্যক্রম সম্পর্কে সঠিক ধারনা।