তেল ও স্বর্ণের চেয়েও দামি ডেটা: মোস্তাফা জব্বার
ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তেল ও স্বর্ণের চেয়েও দামি ডেটা। ডেটা মানেই সম্পদ। আমরা নিশ্চিত করতে চাই বাংলাদেশের ডেটা যাতে বাংলাদেশেই থাকে। ডেটা সারা দুনিয়া ব্যবহার করবে কিন্তু অবশ্যই অনুমতি নিয়ে তা ব্যবহার করবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আয়োজিত ‘‘ডাটাথনের দ্বিতীয় সংস্করণের সমাপনী’’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম ও রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রশীদ।
ডাটাথন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। প্রতিযোগিতায় সেরা ডেটা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নুরেন শামস ও ইয়ামিনুর রহমান এবং সেরা ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে আবদুল বাসিত ও পার্থ ঘোষ পুরষ্কৃত হন। এ প্রতিযোগিতায় ১১টি দেশ থেকে ২হাজার ৮শ‘র বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে ‘ডেটা সায়েন্স ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর মোহাম্মদ কায়কোবাদ, আইবিএর প্রফেসর ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বা স্মার্ট বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযুক্তির হাইওয়ে দিয়েই এগিয়ে যাবে। তবে, দেশে টেলিযোগাযোগা খাতে মানসম্মত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ থাকা অপরিহার্য। টেলিযোগাযোগ খাতে সেবার গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়েই বিটিআরসি এসএমপির মতো শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানি এই পরিবেশ কাজে লাগাবে বলেও প্রতাশা করেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তেল ও স্বর্ণের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান হয়ে উঠেছে ডেটা। এজন্য প্রয়োজন ডেটা সায়েন্টিস্ট ও ডেটা ইঞ্জিনিয়ার, যারা ডেটার এ মূল্যায়ন আবশ্যিক প্রয়োজনীয় পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারবেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ডেটা সভরেইনিটি না করলে সিলিকনভ্যালির উন্নয়ন হবে আমাদের নয়। তাই ডেটা প্রসেসিংয়ে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। প্রযুক্তি-ভিত্তিক মানব সম্পদ গড়তে হলে এখন সরকার, ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাকাডেমিয়ার পাশাপাশি প্রফেশনালসদের অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।