তিন বছরে গ্রামীণফোন একাডেমি: তরুণদের ক্ষমতায়নে কাজ করছে
ক.বি.ডেস্ক: উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাফল্যের তিন বছর উদযাপন করলো তরুণদের জন্য গ্রামীণফোনের ফ্রি অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গ্রামীণফোন একাডেমি। ৪৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী, গ্রামীণফোনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে গ্রামীণফোন একাডেমির তিন বছর উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত গ্রামীণফোন একাডেমির তিন বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ, হেড অব ইএসজি ফারহানা ইসলাম, হেড অব গ্রামীণফোন একাডেমি ফারহানা হোসেন শাম্মু এবং বিডিওএসএন সভাপতি মুনির হাসান।
গ্রামীণফোন একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সারা দেশের ১৬৭টির বেশি প্রতিষ্ঠানের ২,৩৭,০০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী এবং কোর্স সম্পন্ন করে সনদ পেয়েছে ১ লাখ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ‘এআই-মিশন’ প্রোগ্রামে ছয় মাসে ১০,০০০ শিক্ষার্থীকে এআই’র ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে তিন মাসে ৫,০০০-এর বেশি শিক্ষার্থী তাদের কোর্স সম্পন্ন করেছে। গ্রামীণফোন একাডেমির ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি প্রোগ্রামে ৫০ জন শিক্ষার্থী এক বছরে ৬০ হাজার ডলার আয় করেছে। এ ছাড়া নিজেদের দুটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছে দুই জন শিক্ষার্থী, যা বাস্তব জীবনে ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি প্রোগ্রামের সফলতার স্পষ্ট প্রতিফলন।
ইয়াসির আজমান বলেন, “প্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধি এখন শুধু সময়ের দাবি নয়, এটি দেশের অগ্রগতি এবং ব্যক্তিগত উন্নতির জন্যও অপরিহার্য। আমরা গ্রামীণফোন একাডেমির মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ-উপযোগী কর্মশক্তি তৈরিতে অবদান রাখতে চাই। সময়োপযোগী কোর্সগুলোর মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের যুক্ত ও অনুপ্রাণিত করে চলেছে এই একাডেমি।”
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন একাডেমির লোগোটির একটি গাণিতিক সংস্করণ প্রদর্শন করা হয়, যা ১২৩ সূত্র-ভিত্তিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করেছেন একাডেমিরই একজন শিক্ষার্থী। একাডেমিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সর্বাধিক ২৬টি কোর্স সম্পন্নকারী একজন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও সনদ অর্জন করেন টোটব্যাগ ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিজয়ী।





