তরুনদের সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চাই: নাহিদ ইসলাম
ক.বি.ডেস্ক: তরুনদের সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চাই, যেন তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এসব বিষয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশী ছাত্ররা যারা বিভিন্ন দেশে আইসিটিতে অভিজ্ঞ হিসেবে কাজ করছে, তাদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হবে, যারা দেশের তরুনদের আইসটি খাতে অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে পারবে। আমরা ডিজিটাল বৈষম্য দেখতে পাচ্ছি। আইসিটি’র দিক দিয়ে প্রান্তিকভাবে আমরা পিছিয়ে আছি। আইসিটির আইসিটি’র সমস্ত সুবিধা আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেস্বর) মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইউএনডিপির প্রতিনিধি দল। ইউএনডিপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
ইউএনডিপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্টেফান লিলার, সোনালি দয়ারত্নে, আনোয়ারুল হক এবং শীলা তাসনিম হক। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত ১৫ বছর ডিজিটাইজেশনের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে আমরা সেগুলো তদন্ত করছি।এটুআই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আমরা এটুআই’র পলিসি পরিবর্তন করতে চাই। অনিয়ম দুর্নীতির জন্য আমরা এখনো কাউকে শাস্তি দেইনি। এইটুআই’র ১৪ কর্মকর্তাকে তদন্তের স্বার্থে কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছি। ইউএনডিপি যেহেতু এটুআই’র সঙ্গে জড়িত তাই আমরা তাদেরও তদন্ত করতে বলেছি। এক্ষেত্রে ইউএনডিপি চাইলে তদন্তের স্বার্থে তাদের সহযোগিতা করা হবে। আমরা হয়তো খুব বড় প্রকল্প করতে পারবো না। আমরা রোড ম্যাপ করছি।”
স্টিফেন লিলেন বলেন, “আমরা তদন্তের বিষয়টা খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াও আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো তদন্ত করছি। এটুআই’র সঙ্গে ২০২৫ সালের চুক্তি শেষ হবে, ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে ইউএনডিপি কাজ করতে আগ্রহী। রোড ম্যাপে ইউএনডিপির ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চান তিনি।”